চিকিত্সকদের নিষেধ সত্ত্বেও প্রতি ঘণ্টায় কতবার নাকে-মুখে হাত দিচ্ছেন আপনি! জানাল সমীক্ষা
করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে বার বার নাকে-মুখে হাত দিতে বারন করছেন চিকিত্সকরা। তা সত্ত্বেও ঘণ্টায় কতবার অন্যমনস্কতায় নাকে-মুখে হাত চলে যাচ্ছে জানেন?
নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনাভাইরাসের জন্য নাক, চোথে,মুখে হাত দিতে বারবার নিষেধ করা হচ্ছে। প্রতি ২০ মিনিট অন্তর হাত ধুতে বলছেন চিকিৎসক থেকে শুরু করে বিশেষজ্ঞরা যাতে ভাইরাস চোখ, মুখের মাধ্যমে শরীরে না প্রবেশ করে।
বারবার মুখে হাত দেওয়া থেকে বিরত থাকলে ভাইরাস সংক্রামিত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কম এও জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, মূলত নাক, চোখ বা মুখের মাধ্যমে শরীরের ভিতরে প্রবেশ করে এই মারণ ভাইরাস। ফলে শরীরের ওই অংশগুলিতে হাত দেওয়া বা স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকাই উচিত। কিন্তু জানেন কি আপনি নিজে দিনে কতবার চোখে, নাকে, মুখে হাত দেন? সম্প্রতি পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে যে চাঞ্চল্যকর তথ্য, তা শুনলে আপনি নিজেও অবাক হবেন!
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, আপনি ঘন ঘন হাত ধুলেই যে করোনা সংক্রমণ থেকে মুক্তি পেতে পারেন এমনটা কিন্তু নয়। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় প্রতিরোধকই হল, যতটা সম্ভব মুখে হাত দেওয়া এড়ানো। তবে এই অভ্যাস গড়ে তোলা সত্যিই যে কষ্টকর, তা গবেষণাতেও স্পষ্ট।
অস্ট্রেলিয়ার একটি গবেষণা বলছে, ডাক্তারি পড়ুয়ারা প্রতি ঘণ্টায় ২৩ বার স্পর্শ করেন নিজের মুখ। অন্যদিকে অফিসে কর্মরতাদের ক্ষেত্রেও দেখা গিয়েছে, কমপক্ষে তিন ঘণ্টা কাজ করছেন, এমন ব্যক্তিরা প্রতি ঘণ্টায় গড়ে ১৬ বার করে নিজেদের মুখে হাত দিচ্ছেন। একই ভাবে ২০১৪ সালের একটি গবেষণা বলছেন, শরীরস্বাস্থ্য সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন চিকিৎসকরাও প্রতি দু’ঘণ্টায় ১৯ বার করে হাত দেন নিজের মুখ।
আরও পড়ুন: করোনা থেকে কতটা সুরক্ষিত গর্ভবতী মহিলারা, কতটা সুরক্ষিত নবজাতক!
কোভিড-১৯ (Corvid-19) মহামারীর জেরে সারা দেশ জুড়ে চলছে লকডাউন সরকারও বারবার শোনাচ্ছে সতর্কতামূলক বার্তা। এই সময় একটু সচেতনতাই যুদ্ধ জয়ের একমাত্র উপায়।