বেকারের সংখ্যা বাড়ছে, অথচ চাকরির খোঁজ করছেন না যুবক-যুবতীরা!
ওয়েব ডেস্ক: ভারতে বেকার যুবক-যুবতীরা আর চাকরি খুঁজছেন না। এই তথ্যই উঠে এল Centre for Monitoring Indian Economy-র রিপোর্টে। জানুয়ারিতে গোটা দেশে বেকারের সংখ্যা ছিল ৪০৮.৪ মিলিয়ন। চাকরি খুঁজছিলেন ২৫.৯ মিলিয়ন।
সাত মাস এই সংখ্যায় আমূল পরিবর্তন। Centre for Monitoring Indian Economy-র রিপোর্ট বলছে, জুলাইয়ের শেষে বেকারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪০৫.৪ মিলিয়ন। কিন্তু চাকরি খুঁজছেন ১৩.৭ মিলিয়ন।
কেন বেকাররা চাকরির খোঁজ ছেড়ে দিয়েছেন?
একটা কারণ হতে পারে, বেকাররা চাকরির পিছনে না ছুটে ব্যবসায় মন দিচ্ছেন। ব্যবসায় উৎসায় দিতে একাধিক প্রকল্পের সূচনা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। মুদ্রা ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ দেওয়া হচ্ছে। এরই সুযোগ নিচ্ছেন যুবক-যুবতীরা।
আরও পড়ুন- উচ্চ মাধ্যমিকের পর এই কোর্সগুলি করলেই মাসে আয় ৫০-৬০ হাজার টাকা!
আর একটা কারণ হতে পারে, বেকাররা আরও পড়াশুনো করতে চাইছে। আমেরিকা ও ইউরোপে আর্থিক মন্দার সময়ে বেকাররা হাতের কাজের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। সেটা ভারতের ক্ষেত্রেও হতে পারে। এদেশেও বিভিন্ন সংস্থায় দক্ষ কর্মী নেওয়া হচ্ছে।
কিন্তু, এর মধ্যে কোনওটাই না হলে? তাহলে বেকার যুবক-যুবতীরা আর কিছুই করছেন না। তাঁরা উদ্যমহীন হয়ে পড়েছেন। এটা হলে তা যথেষ্ট উদ্বেগের বিষয়।
Centre for Monitoring Indian Economy-র সিইও মহেশ ব্যাসের কথায়, উত্তর প্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড ও ওডিশায় চাকরিপ্রার্থীদের সংখ্যা কমে গিয়েছে। এই রাজ্যগুলি ততটা উন্নত নয়। এখানে কমবয়সীদের সংখ্যাও বেশি। বেকার যুবকদের কাছে কাজ নেই। তা সত্ত্বেও তাঁরা কাজ খুঁজছেন না। এমনটা হলে তাঁরা অপরাধমূলক কাজকর্মে জড়িয়ে পড়তে পারে।
গোটা দেশে কর্মসংস্থানের কী অবস্থা, তা জানতে সমীক্ষা শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০১৪ সালে ক্ষমতায় এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ফলে এই সমীক্ষার ফলের উপরে ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাগ্য অনেকটাই নির্ভর করছে, তা বলাই বাহুল্য।