দু'সন্তানের বাবা যীশুখ্রিস্টের বিয়ে হয়েছিল বারবনিতার সঙ্গে?
যীশু খ্রিস্টের জীবনী নিয়ে এক গবেষণায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। ব্রিটিশ লাইব্রেরি থেকে উদ্ধার হওয়া ১৪৫০ বছরের পুরনো পাণ্ডুলিপি থেকে জানা যাচ্ছে, যীশুর বিয়ে হয় তাঁরই অনতম্য শিষ্যা মেরি ম্যাগডালেনের সঙ্গে। মেরি ছিলেন একজন বারবনিতা। আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে এই পাণ্ডুলিপি থেকে, যীশুখ্রিষ্ট ছিলেন দুই সন্তানের পিতা।
ওয়েব ডেস্ক: যীশু খ্রিস্টের জীবনী নিয়ে এক গবেষণায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। ব্রিটিশ লাইব্রেরি থেকে উদ্ধার হওয়া ১৪৫০ বছরের পুরনো পাণ্ডুলিপি থেকে জানা যাচ্ছে, যীশুর বিয়ে হয় তাঁরই অনতম্য শিষ্যা মেরি ম্যাগডালেনের সঙ্গে। মেরি ছিলেন একজন বারবনিতা। আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে এই পাণ্ডুলিপি থেকে, যীশুখ্রিষ্ট ছিলেন দুই সন্তানের পিতা।
নিজেদের নতুন বই 'দ্য লস্ট গসপেল'-এ প্রফেসর ব্যারি উইলসন ও ইতিহাসবিদ স্মিকা জাকোবোভিচ লিখছেন, যীশুর দুই সন্তানকে হত্যা করা হয় যীশুর ক্রুশবিদ্ধ হওয়ার ১৩ বছর আগে। এ ছাড়াও এই বই থেকে জানা যাচ্ছে, যীশুর সঙ্গে রাজনৈতিক যোগসাজশ ছিল রোমান রাজা টিবেরিয়াসের।
তবে যীশুর ধর্মপ্রচারে মেরি ম্যাগডালেনের যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল, তা নিয়ে সন্দেহ নেই কোনও ধর্মবিশেষজ্ঞরই। যীশুর জীবনে সবচেয়ে বেশি প্রভাব বিস্তার করেছিলেন দুই নারী। প্রথম ছিলেন তাঁর মা মেরি। তারপরই উঠে আসে ম্যাগডালেনের নাম। যীশুর ক্রুশবিদ্ধ পর্ব শেষ হওয়ার পর এই ম্যাগডালেনের উপস্থিতির কথা জানিয়েছে বিভিন্ন ধর্মতত্ত্ব।
তবে যীশুর সঙ্গে ম্যাগডালেনের বিয়ের নতুন তথ্য প্রকাশ্যে আসায় বিভিন্ন মহলে সমালোচনার ঝড় শুরু হয়েছে। ইংল্যান্ডের বিভিন্ন চার্চের ধর্মযাজকরা এই তথ্য উড়িয়ে দিয়ে বলছেন, 'দ্য লস্ট গসপেল' ঐতিহাসিক তথ্যপ্রমাণের চেয়ে জনপ্রিয় গল্পের হাত ধরেছে বেশি। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্মীয় প্রফেসর ডায়রমেইড ম্যককুল্লচ এই তথ্য সম্পূর্ণ খারিজ করে বলেছেন, "এটা খুব নোংরা শোনাচ্ছে।"