Indian Railways: নতুন সিদ্ধান্ত নিলেন রেলমন্ত্রী, অবসান হল ব্রিটিশ প্রথার
রেলের সব জোনাল অফিসে একই ব্যবস্থা থাকলেও শেষ কিছু দিনে তা বাতিল করা হয়েছে। অন্যদিকে, ভারতীয় রেল প্রবীণ নাগরিকদের জন্য টিকিটে ডিসকাউন্ট ফের চালু করার কথা ভাবছে। ছাড় ফের চালু না করায় শেষ কিছু দিনে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল রেলকে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব রেলমন্ত্রীর পদ গ্রহণের পর অনেক নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর মধ্যে কিছু যাত্রীদের সুবিধার জন্য এবং কিছু কর্মচারীদের সুবিধার জন্য। এর মধ্যে কিছু সিদ্ধান্ত মানুষকে অবাক করেছে। রেলমন্ত্রী সম্প্রতি এমনই একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যাতে তিনি রেলে বছরের পর বছর ধরে চলে আসা এক ব্যবস্থার অবসানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। রেল মন্ত্রক এবং সারা দেশে রেলওয়ের জিএম অফিসে আরপিএফ জওয়ানদের মোতায়েন করা হয়। এই জওয়ানের কাজ শুধু স্যালুট করা।
ব্রিটিশ আমল থেকেই এই প্রথা চলছে
ব্রিটিশ আমল থেকেই ভারতীয় রেলে এই রীতি চলে আসছে। কিন্তু রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব একে সামন্ততান্ত্রিক প্রথা মনে করে বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা স্যালুটকে স্ট্যাটাসের সঙ্গে যুক্ত করেন। আসলে, রেলমন্ত্রী এবং বোর্ড সদস্যদের জন্য রেল মন্ত্রকের একটি পৃথক গেট রয়েছে, যেখানে আরপিএফ-এর স্যালুট কর্মীরা একটি বিশেষ ইউনিফর্মে অবস্থান করতেন।।
আরও পড়ুন: Seven Signs: যে সাতটি লক্ষণ দেখে আপনি বুঝতে পারবেন, আপনার জীবনে ভালো সময় আসছে কি না...
ডিসকাউন্ট আবার শুরু হতে পারে
রেলের সব জোনাল অফিসে একই ব্যবস্থা থাকলেও শেষ কিছু দিনে তা বাতিল করা হয়েছে। অন্যদিকে, ভারতীয় রেল প্রবীণ নাগরিকদের জন্য টিকিটে ডিসকাউন্ট ফের চালু করার কথা ভাবছে। ছাড় ফের চালু না করায় শেষ কিছু দিনে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল রেলকে।
সূত্রের খবর, টিকিটের দামে শিথিলতা দিতে বয়সসীমার মাপকাঠি পরিবর্তন করতে পারে রেল। এটা প্রত্যাশিত যে সরকার ৭০ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিদের জন্য ডিসকাউন্টেড ভাড়ার সুবিধা প্রদান করবে। আগে এই সুবিধা ছিল ৫৮ বছর বয়সী মহিলা এবং ৬০ বছর পূর্ণ হওয়া পুরুষদের জন্য।
অন্যান্য সুবিধা
করোনা আবহে এসি কোচের যাত্রীদের চাদর, কম্বল দেওয়া বন্ধ করেছিল রেল। সংক্রমণ কমে যাওয়ায় কিছুদিন আগে যাত্রীদের জন্য ফের চালু করে দেওয়া হয় এই ব্যবস্থা।
করোনা সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে এসি কোচে বন্ধ করে দেওয়া হয় কম্বল ও চাদর। তবে দেওয়া শুরু করা হয় একবার ব্যবহার করে ফেলে দেওয়ার মতো বেডরোল কিট। কিন্তু তার যাত্রদের কিনে নিতে হত। পরবর্তীকালে সেই অতিরিক্ত টাকা দেওয়া থেকে মুক্তি পেয়েছেন যাত্রীরা।
করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই চলে যাওয়ায় ধীরে ধীরে অন্যান্য ব্যবস্থাও চালু করছে রেল। গ্রুপ টিকিটের ক্ষেত্রে পদ্ধতি আরও সরলীকরণ করা হচ্ছে। গোটা ট্রেন অথবা কোনও একটি কোচ বুক করার ক্ষেত্রে পদ্ধতি অনেক সহজ করা হচ্ছে।