ভারতের এই ভূতুড়ে গ্রামে আজও কেউ থাকেনা! নেপথ্য কাহিনি জানলে শিউরে উঠতে হয়
২০১০ সালে দিল্লির প্যারানরম্যাল সোসাইটির একটি দল এই গ্রামে এক রাত কাটিয়েছিল। তাঁদের একাধিক ভৌতিক অভিজ্ঞতা হয়েছে বলেও দাবি করেছিলেন ওই দলের সদস্যরা। আর এই সব ঘটনা মিলিয়েই পাকাপাকিভাবে অভিশপ্ত গ্রামের তকমা লেগে গিয়েছে কুলধারা গ্রামের গায়ে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: গ্রামে নাকি ভূতুড়ে কাণ্ড কারখানা। তার জেরে গাঁ উজার। এমনই এক গ্রাম রাজস্থানের কুলধারা। সময়টা উনবিংশ শতাব্দীর শুরুর দিক। সে সময় এই গ্রামে পালিওয়াল ব্রাহ্মণদের বসবাস ছিল। স্থানীয়দের মুখে মুখে ঘোরা এক কাহিনি মতে, গ্রাম তখন মানুষের বসবাসে রমরম করত। থর মরুভূমির কোলে এই গ্রামের পত্তন হয়েছিল ত্রয়োদশ শতকে। সে সময় স্থানীয় এক মন্ত্রীর কুনজর পড়ে ওই গ্রামের এক তরুণীর ওপর।
আরও পড়ুন, Holi 2023: দোলে ঠান্ডাই বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিন! দেখে নিন সেই রেসিপি
এরপর রাতারাতি জনশূন্য হয়ে গিয়েছিল গোটা গ্রাম। পরদিন সকালে গ্রামের কুলদেবতা বিষ্ণুর মন্দিরে ঘণ্টাধ্বনি শোনা যায়নি আর। কোনও ঘরে দেখা যায়নি উনুনের ধোঁয়া। কোথাও শোনা যায়নি ফিসফিসিয়ে কথা বলার আওয়াজটুকুও। ওই মেয়ের সম্মান বাঁচাতে গোটা গ্রাম রাতের অন্ধকারে চম্পট দেন। কোথায় যায় কেউই জানে না। কথিত আছে যাওয়ার সময় ব্রাহ্মণরা অভিশাপ দিয়ে যান যে তাঁদের ওই গ্রামে আর কখনও কেউ বসবাস করতে পারবেন না।
তারপর থেকে অভিশপ্ত গ্রাম বলেই সকলে চেনেন রাজস্থানের জয়সলমীর থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত কুলধারা গ্রামকে। এ গ্রামে তারপর থেকে কেউ কখনও থাকতে পারেননি। সত্যিই সেদিনের পর আর কেউ থাকেননি। ২০১০ সালে দিল্লির প্যারানরম্যাল সোসাইটির একটি দল এই গ্রামে এক রাত কাটিয়েছিল। তাঁদের একাধিক ভৌতিক অভিজ্ঞতা হয়েছে বলেও দাবি করেছিলেন ওই দলের সদস্যরা। আর এই সব ঘটনা মিলিয়েই পাকাপাকিভাবে অভিশপ্ত গ্রামের তকমা লেগে গিয়েছে কুলধারা গ্রামের গায়ে।
আরও পড়ুন, Shani Gochar 2023: এ মাসেই শনির অবস্থান বদল, ভাগ্যচক্র ঘুরতে পারে কোন কোন রাশির?