ক্যানভাসে লুকিয়ে 'মিস্টার ইন্ডিয়া'-খুঁজছে ওয়েব দুনিয়া, খুঁজুন আপনিও

তিনি হলেন ক্যানভাসের `মিস্টার ইন্ডিয়া` বা `দি ইনভিজিবল ম্যান`। অদৃশ্য শিল্পীআশপাশের জগতের অতিচেনা বস্তুর সঙ্গে মানবশরীর মিশিয়ে দিয়ে অদৃশ্য হয়ে যান। এবারও হলেন। তবে এবারটা সাংঘাতিক হৈ হৈ পড়ে গিয়েছে। চিনের শানডংয়ের চিত্র শিল্পী লিউ বোলিন ক্যানাভাসে নিজেকে হারিয়ে দিয়েছেন (ছবিতে)।

Updated By: Apr 8, 2014, 07:06 PM IST

------------------------------------------------
তিনি হলেন ক্যানভাসের `মিস্টার ইন্ডিয়া` বা `দি ইনভিজিবল ম্যান`। অদৃশ্য শিল্পীআশপাশের জগতের অতিচেনা বস্তুর সঙ্গে মানবশরীর মিশিয়ে দিয়ে অদৃশ্য হয়ে যান। এবারও হলেন। তবে এবারটা সাংঘাতিক হৈ হৈ পড়ে গিয়েছে। চিনের শানডংয়ের চিত্র শিল্পী লিউ বোলিন ক্যানাভাসে নিজেকে হারিয়ে দিয়েছেন (ছবিতে)।

লিউ বোলিন বিশ্বাস করেন পরনের কাপড় ঠিকঠাক ক্যামোফ্লেজ করাকে। শিল্পী এমা হ্যাক ছোটবেলা থেকেই মেকআপ দেওয়ায় ছিলেন সিদ্ধহস্ত। অদৃশ্য শিল্পীদের দলে যোগ দেওয়ার পর বডিপেইন্টিংকে তিনি নিয়ে গেছেন অন্য উচ্চতায়। লিউ বোলিন তাঁর কাজের মাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে নিজের রোষ প্রকাশ করেন। কেননা ২০০৫ সালে অতর্কিতে তাঁর স্টুডিও বন্ধ করে দিয়েছিল চীনা সরকার। বিশ্ববাসীকে জানানোর জন্য আর্বান মিমিকসরা তাঁদের কাজের নমুনাছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে দেন। তাঁদের সদস্যসংখ্যা এখন কম হলেও উৎসাহী হয়ে অনেকে সাড়া দেবেন এমনটাই তাঁদের ভাবনা।

পার্কের বেঞ্চটায় বসতে গিয়ে হঠাৎ কিছুর স্পর্শ পেয়ে চমকে ওঠেন কিংবা ব্যস্ত পায়ে রাস্তাটা পেরোতে গিয়ে আপাতভাবে বাতাসের সঙ্গে ধাক্কা লেগে বিষম খাবার জোগাড় হয় ডাচদের। যাঁরা ডেজিরি পালম্যানের কাজের ব্যাপারে এক-আধটু জানেন তাঁরাও ঘটনার আকস্মিকতায় ভূত ভেবে ভুল ঠাওরান। ডাচ এই নারীশিল্পী আর্বান মিমিকস দলের অন্যতম অগ্রদূত। একেকটি কাজ করতে গিয়ে তাঁকে অধ্যবসায়ের চূড়ান্ত পরীক্ষায় নামতে হয়। যে জায়গাটা নিয়ে কাজ করবেন সেটার ছবি আগে তুলে আনেন ক্যামেরায়। এরপর তাঁর রটেরডামর স্টুডিওতে চলে নিরন্তর গবেষণা। পরিবেশের খুঁটিনাটি বিষয় নজরে এনে তিনি শুরু করেন পোশাকের নকশা।

প্রাথমিকভাবে শেষ হলে তিনি নিজে অথবা সহকারীকে পোশাকটি পরিয়ে দাঁড় করিয়ে দেন সেখানে। পোশাকের যে জায়গাগুলো খাপছাড়া মনে হচ্ছে সেগুলো দ্রুত চিহ্নিত করে নেন। ল্যাবে ফিরে শুরু হয় শুধরে নেওয়ার কাজ। যতই নিখুঁত হোক না কেন বরাবরই খুঁতখুঁতে পালম্যান সন্তুষ্ট হতে পারেন না। সব শেষ হওয়ার পর নিজে গিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েন সেখানটায়। পথচারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে মাঝেমধ্যে নড়েচড়ে বসেন। আচমকা বাতাসে ঢেউ খেলে যেতে দেখে লোকের কোটরাগত দৃষ্টি সবচেয়ে বেশি উপভোগ করেন ৪৬ বছর বয়সী এই শিল্পী।

রটেরডামর স্টুডিওতে চলে নিরন্তর গবেষণা। পরিবেশের খুঁটিনাটি বিষয় নজরে এনে তিনি শুরু করেন পোশাকের নকশা। প্রাথমিকভাবে শেষ হলে তিনি নিজে অথবা সহকারীকে পোশাকটি পরিয়ে দাঁড় করিয়ে দেন সেখানে। পোশাকের যে জায়গাগুলো খাপছাড়া মনে হচ্ছে সেগুলো দ্রুত চিহ্নিত করে নেন।

ল্যাবে ফিরে শুরু হয় শুধরে নেওয়ার কাজ। যতই নিখুঁত হোক না কেন বরাবরই খুঁতখুঁতে পালম্যান সন্তুষ্ট হতে পারেন না। সব শেষ হওয়ার পর নিজে গিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েন সেখানটায়। পথচারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে মাঝে মধ্যে নড়েচড়ে বসেন। আচমকা বাতাসে ঢেউ খেলে যেতে দেখে লোকের কোটরাগত দৃষ্টি সবচেয়ে বেশি উপভোগ করেন ৪৬ বছর বয়সী এ শিল্পী।

.