গ্রহদোষ কাটাতে রুদ্রাক্ষের ব্যবহার

দেখে নেওয়া যাক জ্যোতিষশাস্ত্র মতে গ্রহদোষ কাটাতে কী রকম রুদ্রাক্ষ প্রয়োজন।

Updated By: Oct 27, 2018, 06:09 AM IST
গ্রহদোষ কাটাতে রুদ্রাক্ষের ব্যবহার

মানবজীবনে রুদ্রাক্ষের প্রভাব অপরিসীম। যেহেতু রুদ্রাক্ষের উৎপত্তির কারণ স্বয়ং শিব, তাই মানব জীবনে বিভিন্ন গ্রহের অবস্থান অনুসারে এর প্রভাব অনস্বীকার্য। রুদ্রাক্ষ বিভিন্ন প্রকারের হয়। একমুখী, দ্বিমুখী, তিনমুখী, পাঁচমুখী, সাতমুখী ইত্যাদি। পৃথিবীতে অসংখ্য প্রকার বৃক্ষ পাওয়া যায় কিন্তু রুদ্রাক্ষ বৃক্ষ পাওয়া ভীষণ সমস্যা। রুদ্রাক্ষ অনেক প্রকার হয় ,সেগুলি লঙ্কার বীজের আকার থেকে শুরু করে আমলকীর আকারের পর্যন্ত হয়ে থাকে। সব থেকে ছোট আর সব থেকে বড় রুদ্রাক্ষ পাওয়া বড় কঠিন। এ বার দেখে নেওয়া যাক জ্যোতিষশাস্ত্র মতে গ্রহদোষ কাটাতে কী রকম রুদ্রাক্ষ প্রয়োজন।

১) রবির স্থান ভাল হলে জাতক-জাতিকা শিল্পী, জ্ঞানী, সাধু, বুদ্ধিমান ও বিচক্ষন প্রকৃতির হয়ে থাকে। তবে প্রায়ই এদের পেটের রোগ বা সমস্যা লেগে থাকে। যে কোনও রুদ্রাক্ষ ধারণ করলেই ফল মিলবে।

২) চন্দ্রের ক্ষেত্র খারাপ হলে জাতক-জাতিকা একটু ভীতু প্রকৃতির হয়। এদের মধ্যে কু-সংস্কারের প্রভাব বেশি থাকে। এ ক্ষেত্রে চন্দ্র গ্রহদোষ কাটাতে পঞ্চদশমুখী রুদ্রাক্ষ ধারণ করা উচিত।

৩) মঙ্গলের স্থান নীচু হলে জাতক-জাতিকা বেসামাল ও নিষ্ঠুর প্রকৃতির হয়। সে ক্ষেত্রে তিনমুখী রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে সুফল পাওয়া যায়। অনেকে দশমুখী রুদ্রাক্ষ ধারণ করেও ভাল ফল পেয়েছেন।

৪) বুধের স্থান নীচু হলে জাতক-জাতিকার একটু অসৎ পথে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সে ক্ষেত্রে সপ্তমুখী রুদ্রাক্ষ ব্যবহার করলে সুফল মিলবে।

৫) বৃহস্পতির স্থান নিচু হলে জাতক-জাতিকারা অত্যাচারী ও অবাধ্য প্রকৃতির হয়। সে ক্ষেত্রে পঞ্চমুখী বা অষ্টমুখী রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে সুফল মিলবে।

৬) শুক্রের স্থান খারাপ বা নীচু হলে জাতক-জাতিকা বিদ্বেষী বা একটু অসৎ প্রকৃতির হতে পারে। সে ক্ষেত্রে চতুর্দশমুখী রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে ভাল ফল পাওয়া যাবে।

৭) শনির ক্ষেত্র নীচু হলে জাতক-জাতিকা অবাধ্য, বিদ্বেষী প্রকৃতির হয়। সে ক্ষেত্রে নয়মুখী বা দ্বাদশমুখী রুদ্রাক্ষ ব্যবহার করলে ভাল ফল পাওয়া যাবে।

.