রান্নাতে বিষ! আপনি কি আদৌ সঠিক পদ্ধতিতে রান্না করছেন?

ঝোলে-ঝালে-অম্বলে সাজানো ভাতের পাতেই বাঙালির পরিচয়। গ্লোবালাইজেশনের এই যুগে বাঙালির মেনু চার্টে সেইসঙ্গে যোগ হয়েছে তন্দুরি, স্টিমড, গ্রিলড রকমারি খাবার। কিন্তু যা খাচ্ছি তার খাদ্যগুণ কতটা কাজে লাগছে আপনার-আমার? প্রয়োজনীয় প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেড বা ফ্যাট কি আদৌ পৌছচ্ছে আমাদের শরীরে? চমকে দিচ্ছে বাস্তব তথ্য...

Updated By: Jul 13, 2016, 04:50 PM IST
রান্নাতে বিষ! আপনি কি আদৌ সঠিক পদ্ধতিতে রান্না করছেন?

ওয়েব ডেস্ক : ঝোলে-ঝালে-অম্বলে সাজানো ভাতের পাতেই বাঙালির পরিচয়। গ্লোবালাইজেশনের এই যুগে বাঙালির মেনু চার্টে সেইসঙ্গে যোগ হয়েছে তন্দুরি, স্টিমড, গ্রিলড রকমারি খাবার। কিন্তু যা খাচ্ছি তার খাদ্যগুণ কতটা কাজে লাগছে আপনার-আমার? প্রয়োজনীয় প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেড বা ফ্যাট কি আদৌ পৌছচ্ছে আমাদের শরীরে? চমকে দিচ্ছে বাস্তব তথ্য...

রান্নাতে বিষ!

গবেষণা বলছে,  রান্নার জেরে খাবারের প্রোটিন, ফ্যাটের গঠন বদলে যাওটাই ডেকে আনছে বড় বিপদ। রান্নার কোনও কোনও পদ্ধতি খাদ্যে থাকা প্রোটিনের গঠন ভেঙে দেয়। ফলে উপকার হয় না শরীরের। রান্নার জেরে খাবারে থাকা ফ্যাট হয়ে ওঠে রীতিমতো বিষাক্ত। তাপে ফ্যাট থেকে তৈরি হয় ডাইকার্বোলাইল, যা থেকে ক্যানসারও হতে পারে।

ফোটানোর বিপদ!

ঝোল, তরকারি বা ডাল। ফুটিয়ে সেদ্ধ করে রান্নাটাই নিয়ম। গবেষণা বলছে, অল্প আঁচে রান্না করলে ফ্যাট অক্সিডাইজড হওয়ার সম্ভাবনা কমে। তবে এখানে বিপদ প্রোটিনের। বেশি সময় রান্না ধরে ফোটালে খাবারের প্রোটিন নষ্ট হয়ে যায়। তাই অল্প আঁচে রাঁধুন। তবে বেশি সময় ফোটাবেন না।

তন্দুরে বিপদ!

অবাক হচ্ছেন, শরীরের পক্ষে ভাল ভেবে আমরা তো দিব্বি তারিয়ে তারিয়ে খাচ্ছি গ্রিলড ফিশ বা তন্দুরি চিকেন। এদিকে কড়া ভাবে পোড়ানো বা সেঁকা খাবারে খাদ্য গুণ আর থাকে না।
অক্সিডাইজড ফ্যাট শরীরে ইনসুলিনের কার্যকারিতা কমায়। ভেঙে যায় খাবারে থাকা ফ্যাটও। যার জেরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে। নষ্ট হয় হজম ক্ষমতা। ক্ষতি হয় ব্রেনের। এখানেই শেষ নয়। এ ভাবে রান্না করা খাবার থেকে হতে পারে ক্যানসারও! তাই গ্রিল বা তন্দুর করার সময় সচেতন হোন। বেশি গ্রিল করা খাবার আজই বাদ দিন মেনু চার্ট থেকে। সরাসরি আগুনে পোড়ানো মাংস কখনই খাবে না।

ভাজায় বিপদ!

ভাজা ছাড়া বাঙালি ভাবা খুব কঠিন। তা ভাতের পাতে মাছ ভাজাই হোক বা জলখাবারে সিঙাড়া। গরম তেলের কড়াইতে পৌছলেই খাদ্যগুণের  দফরফা। প্রোটিন ভেঙে যায়। ফ্যাট অক্সিডাইজড হয়ে যায়। খাবারে থাকা কার্বোহাইড্রেডও গ্লাইকেটেড হয়ে যায়। আর এসবই বাড়িয়ে দেয় ক্যানসারের ভয়।

তাই রান্না করার আগে একটু সচেতন হোন। কুকারে রাঁধুন অথবা কড়াইতে। বেশি সময় খাবার তাপের ওপর রাখবেন না। কারণ রান্নায় বেশি নুন বা চিনির মতো, ক্ষতি হয় বেশি তাপেও। চেষ্টা করলেই বদল আনা যায় রান্নার পদ্ধতিতে। তাতে হয়েতো রোজ মনমতো পদ পাবেন না টেবিলে। তবে শরীর বাঁচবে। প্লেটে খাবারের সঙ্গে থাকবে খাদ্য গুণও।

আরও পড়ুন, গা ঘিনঘিন করে উঠবে...কিন্তু এভাবে তৈরি 'নোংরা' চাউ-ই আপনি রোজ খাচ্ছেন!

.