অন্তত ৬০% ভারতীয় পুরুষ ডোমেস্টিক ভায়লেন্সের সঙ্গে জড়িত, বলছে রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্ট
স্ত্রী বা প্রেমিকাকে অত্যাচারের কথা নিজ মুখে স্বীকার করে নিলেন ৬০% ভারতীয় পুরুষ। যেখানে ৫২% মহিলারা জানিয়েছেন তাঁরা গার্হস্থ্য জীবনে অত্যাচারের স্বীকার। রাষ্ট্রপুঞ্জের নতুন এক রিপোর্ট সামনে এসেছে ভয়াবহ এই তথ্য।
নয়া দিল্লি: স্ত্রী বা প্রেমিকাকে অত্যাচারের কথা নিজ মুখে স্বীকার করে নিলেন ৬০% ভারতীয় পুরুষ। যেখানে ৫২% মহিলারা জানিয়েছেন তাঁরা গার্হস্থ্য জীবনে অত্যাচারের স্বীকার। রাষ্ট্রপুঞ্জের নতুন এক রিপোর্ট সামনে এসেছে ভয়াবহ এই তথ্য।
রাষ্ট্রপুঞ্জ ও ওয়াশিংটনের International Center for Research on Women যৌথভাবে এই সমীক্ষাটি চালিয়েছে।
"Masculinity, Intimate Partner Violence and Son Preference in India' নামের এই সমীক্ষাটি হরিয়াণা, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা, পাঞ্জাব, রাজ স্থান ও উত্তরপ্রদেশ এই ৭টি রাজ্য জুড়ে হয়েছে।
১৮ থেকে ৪৯ বছর বয়সী ৯,০০০পুরুষ ও ৩,০০০ মহিলার মধ্যে এই সমীক্ষাটি চালানো হয়েছে।
এই রিপোর্ট অনুযায়ী ""পৌরুষের নামে এক অদ্ভুত মানসিকতা পোষণ করেন ভারতীয় পুরুষরা। তাঁরা সঙ্গিনীদের সবসময় নিয়ন্ত্রণ করতে চান। পরিস্কারভাবে পুত্র সন্তানের দাবি জানান। সঙ্গিনীদের উপর অত্যাচারকে তাঁরা তাঁদের পৌরুষের অঙ্গ বলেই মনে করেন।''
এই রিপোর্ট অনুযায়ী ডমেস্টিক ভায়লেন্সের ঘটনা সবথেকে বেশি ওড়িশা ও উত্তরপ্রদেশে। এই দুই রাজ্যের ৭০% পুরুষ গর্বের সঙ্গেই নিজের সঙ্গিনীর উপর অত্যাচারের কথা স্বীকার করেছেন।
ডেটা অনুযায়ী যে সমস্ত পুরুষরা অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল তারা গার্হস্থ্য হিংসায় বেশি যুক্ত থাকেন।
৩৮% মহিলারা জানিয়েছেন তাদের স্বামী বা সঙ্গী যখনতখন তাদের উপর শারীরিক অত্যাচার চালায়। লাথি, চড়, পুড়িয়ে দেওয়া তাদের নিত্য সঙ্গী।
এর সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে চলে মানসিক, অর্থনৈতিক ও যৌন অত্যাচার।
শৈশবে হিংসার শিকার হলে পরবর্তীকালে দেখা যায় নিজের পুরুষত্ব প্রমাণ করার তাগিদে পুরুষদের মধ্যে স্ত্রী বা সঙ্গিনীর উপর অত্যাচারের মাত্রা বৃদ্ধি পায়।
গার্হস্থ্য হিংসা ও পুত্র সন্তানের মত চাহিদাগুলি বন্ধ করার জন্য লিঙ্গ বৈষম্য দূর করতে জাতীয় স্তরে আরও বেশি প্রকল্প ও প্রোগ্রামের প্রয়োজন বলে জানিয়েছে এই রিপোর্ট।