শহিদ জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধায় রাজস্থানে ৭০০ কিমির মানব বন্ধন

রাজপুতানার রুক্ষ প্রান্তরে ছড়িয়ে দেশপ্রেম আর বীরত্বের নানা কাহিনি। সেই রাজস্থানেই অভিনব শহিদ স্মরণ। রাজ্যজুড়ে সাতশো কিলোমিটার দীর্ঘ মানববন্ধন।

Updated By: Aug 14, 2018, 09:12 PM IST
শহিদ জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধায় রাজস্থানে ৭০০ কিমির মানব বন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদন: সাতশো কিলোমিটার দীর্ঘ মানব বন্ধন। সামিল পাঁচ লক্ষ মানুষ। রাজস্থানের সীমান্তবর্তী চার জেলা ঢেকে গেল জাতীয় পতাকায়। স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে এভাবেই দেশের জন্য শহিদ জওয়ানদের শ্রদ্ধা জানাল রাজস্থান।

রাজস্থান। বরাবর বীরভূমি হিসেবেই পরিচিত। রাজপুতানার রুক্ষ প্রান্তরে ছড়িয়ে দেশপ্রেম আর বীরত্বের নানা কাহিনি। সেই রাজস্থানেই অভিনব শহিদ স্মরণ। রাজ্যজুড়ে সাতশো কিলোমিটার দীর্ঘ মানববন্ধন। স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে দেশের নিরাপত্তায় শহিদ জওয়ানদের অভিনব কায়দায় স্মরণ করল রাজস্থান।

স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে শহিদদের সেলাম কর্মসূচি। রাজ্যবাসীকে আহ্বান জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে। সাড়া মিলেছে। প্রায় ৫ লক্ষ মানুষ, ৭০০ কিলোমিটার দীর্ঘ মানব বন্ধন তৈরি করেছেন। বিকানের, জয়সালমের, গঙ্গানগর, বারমেঢ় জুড়ে তৈরি হয় মানব বন্ধন। ২ লক্ষের বেশি জাতীয় পতাকা নিয়ে আসা হয়। আট থেকে আশি, শহিদ স্মরণে সামিল সবাই। নজিরবিহীন এই মানববন্ধনে আম জনতার হাত ধরেন সেনা ও এয়ার ফোর্সের জওয়ানরাও। বিশেষ উত্‍সাহ দেখা যায় ছাত্রছাত্রীদের মধ্যেও।

সেনা ক্যাম্পে শহিদ জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এই মানব বন্ধনের সূচনা করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া। হেলিকপ্টারে ফুল বর্ষণ করা হয়। আর সবমিলিয়ে দিনের শেষে তিরঙ্গার রঙে রঙিন রাজস্থান।

এদিকে, বুধবার প্রধানমন্ত্রীর স্বাধীনতা দিবসের ভাষণের সময় আকাশ পথে হামলার আশঙ্কা করছে গোয়েন্দারা। এ জন্য রাজধানী এলাকায় ঘুড়ি ওড়ানোর উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। কেউ ঘুড়ি ওড়াচ্ছে কি না, তা নজর রাখতে ১০০ নিরাপত্তা কর্মীকে মোতায়েন করা হয়েছে।

জানা যাচ্ছে, কাশ্মীরে নাগোরতা সেনা ক্যাম্পে হামলায় গ্রেফতার করা হয় সৈয়দ মিন্দের উল হাসানকে। ধৃত জঙ্গিকে জেরা করে স্বাধীনতা দিবসে হামলার ষড়যন্ত্রের কথা জানতে পারে এনআইএ। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, মিস্ত্রির ছদ্মবেশে দিল্লিতে বাড়ি ভাড়া নিয়ে লুকিয়ে আছে জঙ্গিরা। লালকেল্লার আশপাশের চত্বর তাই দুর্গের চেহারা নিয়েছে। ছবিতে দেখুন- লালকেল্লায় প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতামঞ্চকে ঘিরে ‘যুদ্ধকালীন’ নিরাপত্তা

উপলক্ষে দিল্লি জুড়ে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। দিল্লি মেট্রোর নিরাপত্তাতেই নিয়োগ করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর অতিরিক্ত ৬০০ জওয়ানকে। ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি, লালকেল্লার কাছাকাছি যানবাহনের গতিও সীমিত করা হয়েছে। এদিকে অসম-সহ উত্তর পূর্ব ভারতে স্বাধীনতা দিবস বয়কটের ডাক দিয়েছে উলফা এবং উত্তর পূর্ব ভারতের বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের  কর্ডিনেশন কমিটি। জঙ্গি হামলার কথা মাথায় রেখে নর্থ ইস্ট ফ্রন্টিয়ার রেলওয়েতে কড়া নিরাপত্তা জারি হয়েছে। যে কোনও রকম হিংসা রুখতে  জম্মু-কাশ্মীরে সতর্কতা জারি হয়েছে।

.