চা-বিক্রির টাকায় স্কুল গড়ে পদ্মশ্রী পাচ্ছেন কটকের প্রকাশ
ওই চা-বিক্রেতা কখনও স্কুলে যাননি। অথচ তিনি হিন্দি ও ইংরেজি বেশ ভালো বলতে পারেন।
![চা-বিক্রির টাকায় স্কুল গড়ে পদ্মশ্রী পাচ্ছেন কটকের প্রকাশ চা-বিক্রির টাকায় স্কুল গড়ে পদ্মশ্রী পাচ্ছেন কটকের প্রকাশ](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2019/01/26/171700-d-p-rao.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন: এবছর ভারত সরকার ৯৪ জনকে পদ্মশ্রী দিয়ে সম্মানিত করছে। সেই তালিকায় নাম রয়েছে ডি প্রকাশ রাও। এই ব্যক্তি ওড়িশার কটকের বাসিন্দা। তিনি একজন চাওয়ালা।
তবে এটাই শুধু তাঁর পরিচয় নয়। বরং চা-বিক্রির পাশাপাশি যে কাজটি তিনি গত ৬৭ বছর ধরে করে আসছেন, তার জন্যই তাঁকে এই সম্মান দেওয়া হল। কী করেন তিনি? চা-বিক্রি করে যা উপার্জন করেন, তার একটা বড় অংশ তিনি খরচ করেন সমাজসেবার মাধ্যমে।
আরও পড়ুন: ‘মন্ত্রীদের বাপ আমি; এই সরকার গড়েছি আমরা’, দেখুন মন্ত্রিত্বের জন্য বিধায়কের হুমকি
কী ধরনের সমাজসেবা তিনি করেন? জানা গিয়েছে, তিনি আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া শিশুদের লেখাপড়ার ব্যবস্থা করেন। নিজের আয়ের একটি অংশ খরচ করে তিনি কটক ও তার আশপাশের এলাকায় একটি স্কুলও খুলেছেন।
রোজ তিনি ওই স্কুলে যান। বিনামূল্যে শিশুদের তিনি পড়ানোর কাজ করেন। সেই কাজ সেরে তিনি রোজই চলে যান হাসপাতালে। সেখানে রোগীর সেবা, রোগীর পরিজনদের সহায়তা, রোগীদের জন্য গরম জলের ব্যবস্থাও করে দিন ডি প্রকাশ রাও। মাঝেমধ্যে তিনি রক্তদানও করেন। ওই চা-বিক্রেতা কখনও স্কুলে যাননি। অথচ তিনি হিন্দি ও ইংরেজি বেশ ভালো বলতে পারেন।
আরও পড়ুন: জঙ্গি থেকে সেনা, প্রজাতন্ত্র দিবসে মরণোত্তর অশোক চক্র ল্যান্স নায়েক শহিদ নাজির ওয়ানিকে
ডি প্রকাশ রাওয়ের প্রশংসা করেছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। ২০১৮ সালের ৩০ মে মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেছিলেন ওই চা-ওয়ালার অবদানের কথা উল্লেখ করেছিলেন।