১৬ দিনের মাথায় মিলল ৩টি হেলমেট, এখনও খোঁজ নেই ১৫ জন খনি শ্রমিকের

শুক্রবার, বায়ুসেনার বিমানে গুয়াহাটি বিমানবন্দরে পৌঁছয় ১০টি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন পাম্প। তবে, বিমানবন্দর থেকে প্রায় ২২০ কিলোমিটার দূরে লুমথারি গ্রামের ঘটনাস্থলে এখনও পর্যন্ত ওই পাম্পগুলি পৌঁছয়নি বলে জানা যাচ্ছে

Updated By: Dec 29, 2018, 03:46 PM IST
১৬ দিনের মাথায় মিলল ৩টি হেলমেট, এখনও খোঁজ নেই ১৫ জন খনি শ্রমিকের
ছবি- এএনআই

নিজস্ব প্রতিবেদন: ষোলো দিন পার হয়ে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ ১৫ জনের কাউকে উদ্ধার করা যায়নি। শুধুমাত্র মিলেছে ৩টি হেলমেট।

মেঘালয়ের খনি থেকে জল বার করতেই হিমশিম খাচ্ছেন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলার (এনডিআরএফ) কর্মীরা। যে কম-শক্তি সম্পন্ন পাম্প চালিয়ে এত দিন জল নির্গত করা হচ্ছিল, তা-ও বিকল হয়ে পড়েছে। এনডিআরএফ-র তরফ থেকে প্রথম দিনেই জানানো হয়েছিল, উঁচুতে জলস্তর থাকায় দরকার উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন পাম্পের। অভিযোগ, সেই আবেদনে প্রথমে সাড়া মেলেনি। বেগতিক বুঝে এক সপ্তাহ পর কেন্দ্রের কাছে উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন পাম্প আনার আবেদন জানায় রাজ্য সরকার।

আরও পড়ুন- রবার্ট বঢরার বিরুদ্ধে জমি কেলেঙ্কারির অভিযোগ, পুলিসকে তদন্তের অনুমতি দিল হরিয়ানা সরকার

শুক্রবার, বায়ুসেনার বিমানে গুয়াহাটি বিমানবন্দরে পৌঁছয় ১০টি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন পাম্প। তবে, বিমানবন্দর থেকে প্রায় ২২০ কিলোমিটার দূরে লুমথারি গ্রামের ঘটনাস্থলে এখনও পর্যন্ত ওই পাম্পগুলি পৌঁছয়নি বলে জানা যাচ্ছে। এ দিকে বিশাখাপত্তনম থেকে রওনা দিয়েছে নৌসেনার ১৫ সদস্যের এক ডাইভার দলও। পাম্প প্রস্তুতকারী সংস্থা কির্লোস্কারের ইঞ্জিনিয়াররা খতিয়ে দেখছেন দুর্ঘটনাস্থল।

জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর অ্যাসিস্ট্যান্ট কম্যান্ড্যান্ট এসকে সিং জানিয়েছেন, “ পরবর্তী পদক্ষেপ কী হওয়া উচিত, তা কোল ইন্ডিয়ার আধিকারিকরা পর্যবেক্ষণ করে দেখছেন। পাম্প এলেই দ্রুত জলের স্তর নামানো যাবে। এর পর নীচে পাঠানো হবে ডাইভারদেরও।” এই খনিটি দুর্গম পাহাড়ি জঙ্গল এলাকায় হওয়ায় পৌঁছতে গেলে ৩০ ফুট চওড়া লিটেন নদী তিন বার পেরোতে হয়। এমন জনমানবহীন এই এলাকায় উদ্ধারকাজ চালানোয় প্রতিকূল হয়ে দাঁড়িয়েছে উদ্ধারকারীদের কাছে।

আরও পড়ুন- রবিবারের বিশেষ পদে এখানে প্রথম পছন্দ ইঁদুরের মাংস

উল্লেখ্য, গত ১৩ ডিসেম্বর ওই খনিতে অবৈধভাবে খননকার্য চালানোর জন্য প্রায় ৩০০ ফুট গভীরে নামেন ১৫ জন শ্রমিক। এর পর ধস নামলে পার্শ্ববর্তী নদী এবং পরিত্যক্ত জায়গা থেকে আসা জলে পরিপূর্ণ হয়ে যায় খনিটি। ২০১৪ সালে মেঘালয়ে বেশ কিছু খনির খননকার্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করে পরিবেশ আদালত। তবে, আইনের তোয়াক্কা না করে কয়েক দিন আগেই ওই খনিটি চালু করা হয়। ক্রিপ স্কুলেট নামে ওই খনির মালিককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

.