৫৩ বছর পর কৈলাস-মানস সরোবর যাত্রার জন্য খুলে দেওয়া হল নাথু লা পাস
কৈলাস-মানস সরোবর যাত্রার জন্য তিব্বত যাওয়ার দ্বিতীয় নাথু লা পাস খুলে দিল চিন। ৫৩ বছর পর সোমবার পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয় এই পথ। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪০০০ মিটার উচ্চতায় সিকিমের এই দ্বিতীয় নাথু লা পাসের উদ্বোধনের কথা গত মাসে চিন সফরের সময় ঘোষনা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২০১৩ সালে উত্তরখণ্ডে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল এই নাথু লা পাস।
ওয়েব ডেস্ক: কৈলাস-মানস সরোবর যাত্রার জন্য তিব্বত যাওয়ার দ্বিতীয় নাথু লা পাস খুলে দিল চিন। ৫৩ বছর পর সোমবার পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয় এই পথ। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪০০০ মিটার উচ্চতায় সিকিমের এই দ্বিতীয় নাথু লা পাসের উদ্বোধনের কথা গত মাসে চিন সফরের সময় ঘোষনা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২০১৩ সালে উত্তরখণ্ডে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল এই নাথু লা পাস।
সোমবার নাথু লা পাস পেরিয়ে তিব্বতে যান ৪৪ জন তীর্থযাত্রী। প্রথম দফায় কৈলাস-মানস সরোবর যাত্রার অনুমতি পেয়েছিলেন ২৫০ জন তীর্থযাত্রী। তীর্থযাত্রীদের মধ্যে বয়স্ক মানুষ বেশি থাকেন। তাই বয়স্কদের জন্য বিশেষ সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে চিনা দূতাবাস। গতকাল প্রথম পদযাত্রী হিসেবে নাথু লা পেরোন ভারতের চিনা রাষ্ট্রদূত লে ইউচেং। এই পথের সাহায্যে নাথু লা থেকে কৈলাসের ১,৫০০ কিলোমিটার পথ বাসে যাতায়াত করতে পারবেন তীর্থযাত্রীরা। এই পথ পুরনোটির থেকে বেশি সুরক্ষিত বলে জানিয়েছেন লে। এর মধ্যেই তিব্বতে শুরু হয়েছে নতুন ভারতীয় হোটেল তৈরি, গাইডদের ট্রেনিং দেওয়ার কাজ।
পুরনো পথে দুর্গমতা সত্ত্বেও গত এক দশকে ৮০,০০০ মানুষ কৈলাস যাত্রা করেছেন। প্রতি বছর ১৮টি দলে মোট ১০০০ জন তীর্থযাত্রী কৈলাস-মানস সরোবর যাত্রার অনুমতি দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। ২৩ দিনের তীর্থে মাথাপিছু খরচ ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা। এই বছর প্রথম দলের নেতৃত্বে রয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভা সাংসদ তরুণ বিজয়।