সেনা-বায়ু সেনা ঘাঁটিতে হাই অ্যালার্ট জারি, বড়সড় জঙ্গি হামলার আশঙ্কা করছে কেন্দ্র
সরকারের কাছে খবর আছে, কিছু জঙ্গি ও বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন বনধের পথে হাঁটতে পারে। উত্তেজনা ছড়াতে পারে আশঙ্কা করছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকও। এ কথা মাথায় রেখে এখনও বেশকিছু অংশে বিধিনিষেধ লাগু রয়েছে।
![সেনা-বায়ু সেনা ঘাঁটিতে হাই অ্যালার্ট জারি, বড়সড় জঙ্গি হামলার আশঙ্কা করছে কেন্দ্র সেনা-বায়ু সেনা ঘাঁটিতে হাই অ্যালার্ট জারি, বড়সড় জঙ্গি হামলার আশঙ্কা করছে কেন্দ্র](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2019/08/16/204652-indianarmy.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন: জম্মু-কাশ্মীরের সেনা ও বায়ুসেনা ঘাঁটিগুলিকে ‘হাই অ্যালার্টে’ থাকার নির্দেশ দিল কেন্দ্র। যে কোনও সময় পাক সেনার মদতে বড়সড় জঙ্গি হামলা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে খবর। দুপুরে জানা গিয়েছিল, রাষ্ট্রসঙ্ঘে পাকিস্তান নিজেদের পরিস্থিতির শিকার বলে তুলে ধরতে পারে। কয়েকদিন ধরে অস্ত্র ও সীমান্তে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে চলেছে পাকিস্তান। সেনার দাবি, কাশ্মীরের পরিস্থিতিকে অতিরঞ্জিত করে আন্তর্জাতিক মহলে তুলে ধরছে পাকিস্তান।
উল্লেখ্য, আজ পোখরানে গিয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং পাকিস্তানকে কটাক্ষ করে বলেন, ভারত কখনই আগ বাড়িয়ে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারে পক্ষপাতী নয়। তবে, পরিস্থিতি অনুযায়ী ভবিষ্যতে এই নীতি বদল হতে পারে বলে জানিয়ে দেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্য সচিব বিভিআর সুব্রহ্মণ্যম আজ জানান, সপ্তাহের শেষ দিকে অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে যাবে কাশ্মীরের পরিস্থিতি। তাঁর কথায়, সরকারের কাছে খবর আছে, কিছু জঙ্গি ও বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন বনধের পথে হাঁটতে পারে। উত্তেজনা ছড়াতে পারে আশঙ্কা করছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকও। এ কথা মাথায় রেখে এখনও বেশকিছু অংশে বিধিনিষেধ লাগু রয়েছে।
আরও পড়ুন- ৩৭০ বিলোপের পর ‘এক দেশ এক নির্বাচনের’ পথে কেন্দ্র! প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যেই ইঙ্গিত, দাবি শিবসেনার
জম্মু-কাশ্মীররে পরিস্থিতি নিয়ে সুব্রহ্মণ্যম বলেন, মোট ২২ টি জেলার মধ্যে ১২টি জেলার জীবনযাত্রা স্বাভাবিক রয়েছে। ৫ জেলায় অংশিক নিষেধাজ্ঞা চালু রয়েছে। তবে, সরকারের দাবি ৩৭০ বিলোপের পর এখনও পর্যন্ত একটাও প্রাণহানির ঘটনা নেই। কাশ্মীরের নেতাদের আটক করা নিয়ে সুব্রহ্মণ্যম বলেন, আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্যই অনেককে আটক করা হয়েছে। মিডিয়া সেন্টার খুলেছে, কেবল টিভিও চালু হয়েছে। ইদের দিন বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছিল। মানুষ ইদ পালন করেছেন, আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করেছেন। আইন শৃঙ্খলার কথা মাথায় রেখেই ধীরে ধীরে বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হবে।