সবটাই মিথ্যে বলছেন ঘাতক ট্রেনের চালক, দাবি অমৃতসর দুর্ঘটনার একাধিক প্রত্যক্ষদর্শীর

রেল সূত্রে খবর, ঘাতক ট্রেনটির সর্বোচ্চ গতি ৯৬ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। ওই গতিতে আপাতকালীন ব্রেক কষলে যাত্রী না থাকা অবস্থায় ট্রেনটি ৩০০ মিটারের মধ্যে থেমে যাওয়ার কথা

Updated By: Oct 22, 2018, 12:14 PM IST
সবটাই মিথ্যে বলছেন ঘাতক ট্রেনের চালক, দাবি অমৃতসর দুর্ঘটনার একাধিক প্রত্যক্ষদর্শীর

নিজস্ব প্রতিবেদন: অমৃতসর ট্রেন দুর্ঘটনা কাণ্ডে নতুন তথ্য দিলেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাদের দাবি ট্রেনের গতি কম করা হয়েছিল বলে চালক যে দাবি করেছেন তা একেবারেই মিথ্যে। ট্রেনের গতি একেবারই কম করা হয়নি। বাজির বিকট আওয়াজের মধ্যেই ৬১ জনকে পিষে দিয়ে বেরিয়ে যায় ঘাতক ট্রেনটি।

আরও পড়ুন-পরের মাসেই ছাদনাতলায় রণবীর-দীপিকা, জানিয়ে দিলেন বিয়ের তারিখ  

ধোবিঘাটে ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শৈলেন্দ্র সিং সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ‘দুর্ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে ছিলাম। ট্রেনটি থামা তো দূরের কথা গতি কমও করেনি। দেখে মনে হচ্ছিল আমাদের চাপা দেওয়ার জন্যই যেন তেড়ে আসছে ট্রেনটি। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে সেটি দর্শকদের চাপা দিয়ে চলে যায়। চারপাশে যখন এত মানুষ মরেছে তখন দর্শকদের মধ্যে থেকে কি পাথর ছোঁড়া সম্ভব? ট্রেনের চালক যা বলছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যে।’

উল্লেখ্য, ট্রেনটি চালাচ্ছিলেন ৩২ বছর বয়সী অরবিন্দ কুমার। সঙ্গে ছিলেন ৪০ বছর বয়সী সিনিয়র গুডস গার্ড মিথিলেশ কুমার। অরবিন্দ কুমার তাঁর লিখিত বয়ানে জানিয়েছেন, হঠাত্ করেই প্রচুর মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছে বলে দেখতে পেলাম। আমি শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত সজোরে হর্ন বাজিয়েছি। কিন্তু চারপাশে প্রচণ্ড বাজির শব্দ হচ্ছিল। সঙ্গে মাইকের আওয়াজ। এর পরই আমি এমারজেন্সি ব্রেক কষি। ততক্ষণে অবশ্য ট্রেনের নিচে কিছু মানুষ এসে পড়েছিলেন। কিন্তু কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ট্রেন প্রায় থেমেই গিয়েছিল। ঠিক সেই সময় আশেপাশের থেকে বড় বড় পাথর এসে পড়তে থাকে ট্রেনের উপর। আমি তখন যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে ট্রেন চালিয়ে দিই।

আরও পড়ুন-বজবজে প্রতিমা বিসর্জনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, গুলিতে আহত ১

ট্রেন চালকের কথা যে ঠিক নয় তা জানিয়েছেন আরও এক প্রত্যক্ষদর্শী। পরমজিত সিং নামে ওই ব্যক্তির দাবি, ‘ট্রেনের গতি এতটাই বেশি ছিল যে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে সবকিছু ঘটে যায়। ট্রেন মোটেই গতি কম করেনি। কয়েকশো দর্শকের মোবাইলে ঘটনার যে ভিডিও রয়েছে তা দেখলেই বোঝা যায় কতটা গতি ছিল ট্রেনের। কয়েক সেকেন্ডর মধ্যেই সবকিছু ঘটে যায়। পাথর ছোঁড়ার কোনও সুযোগই ছিল না। চারপাশে শুধু মানুষের কান্না শুনতে পাচ্ছিলাম।‘

রেল সূত্রে খবর, ঘাতক ট্রেনটির সর্বোচ্চ গতি ৯৬ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। ওই গতিতে আপাতকালীন ব্রেক কষলে যাত্রী না থাকা অবস্থায় ট্রেনটি ৩০০ মিটারের মধ্যে থেমে যাওয়ার কথা। যাত্রী বোঝাই থাকলে তা ৬০০ মিটারের মধ্যে থামবে। প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি ট্রেনটি থামানোর কোনও চেষ্টাই হয়নি।

.