৫০০ বছরের পুরনো প্রথা ভাঙল, হল না একটিও পশুবলি
একাধিক মন্দির কর্তৃপক্ষ বহু বছর ধরে চলে আসা প্রথায় এবার বদল করতে বাধ্য হল।
নিজস্ব প্রতিবেদন : কোনও মন্দিরে কোনওরকম পশু বা পাখি বলি দেওয়া যাবে না। ২৭ সেপ্টেম্বর ত্রিপুরা হাইকোর্ট এমনই ঐতিহাসিক রায় দিয়েছিল। আদালতের এমন রায়ে অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন অগুণতি ভক্ত। মন্দির কর্তৃপক্ষের মধ্যেও অসন্তোষ দেখা দিয়েছিল। কিন্তু দেশজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা পশুপ্রেমীরা আদালতের এমন রায়কে স্বাগত জানিয়েছিলেন। আদালতের রায় মেনে এই প্রথমবার দুর্গা পুজোর সময় ত্রিপুরাতে কোনও পশু বা পাখি বলি হল না। বহু বছর ধরে চলে আসা প্রথা ভাঙল এবার। একাধিক মন্দির কর্তৃপক্ষ বহু বছর ধরে চলে আসা প্রথায় এবার বদল করতে বাধ্য হল। রাজ্যের কোথাও কোনও মন্দিরে একটিও পশুবলি হল না এবার।
আরও পড়ুন- দুর্গাপুজোর ভাসানের শোভাযাত্রার ইটবৃষ্টি; আহত ৪, তীব্র উত্তেজনা বলরামপুরে
ত্রিপুরেশ্বরীর মন্দিরে ৫০০ বছর ধরে চলে আসছে পশুবলি। কিন্তু এবার সেখানেও বদল। আদালতের নির্দেশ মেনে এবার সেখানে কোনও পশুবলি হয়নি। প্রধান বিচারপতি সঞ্জয় করোল এবং বিচারপতি অরিন্দম লোধ-এর ডিভিশন বেঞ্চ ঐতিহাসিক রায় দিয়েছিল। রাজ্যের অনেক ভক্ত অবশ্য প্রশ্ন তুলেছেন, আদালত কীভাবে মানুষের ধর্মীয় ভাবাবেগে হস্তক্ষেপ করে! ত্রিপুরার একাধিক মন্দিরে নবমীতে মোষ বা ছাগ বলি দেওয়ার প্রথা রয়েছে। কিন্তু এবার তা হল না। আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। জানানো হয়েছে, মানুষের আবেগ, অনুভূতির কথা মাথায় রেখেই এমন পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবা হয়েছে। তবে সুপ্রিম কোর্ট রায় না জানানোর আগে পর্যন্ত হাইকোর্টের নির্দেশমতো রাজ্যে বন্ধই থাকবে পশুবলি।
আরও পড়ুন- থানায় ঢুকে পুলিসের মাথায় বসে উকুন বেছে দিল বাঁদর! দেখুন ভিডিয়ো...
শুক্রবার বিকেলে ত্রিপুরাতে দুর্গা কার্নিভালের আয়োজন করেছে ত্রিপুরা পুরসভা। শহরের ৩৯টি বড় ক্লাব এই কার্নিভালে অংশ নেবে। চৌমুহানি পোস্ট অফিস থেকে বটতলা পর্যন্ত শোভাযাত্রা চলবে।