১২ হাজার শূকর মারা হবে অসমে, করোনার মধ্যে ছড়াচ্ছে নতুন অসুখ
শূকর ফার্মের মালিকরা অবশ্য সরকারের হিসাব ভুল বলছেন। তাঁদের দাবি, গোটা রাজ্যে কম করে এক লাখ শূকর মারা গিয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন- অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল তাঁর রাজ্যে ১২ হাজার শূকর মারার নির্দেশ দিয়েছেন। জানা যাচ্ছে, দেশে করোনার সংক্রমণ শুরু হওয়ার আগে থেকেই অসমের বহু জায়গায় আফ্রিকান সোয়াইন ফ্লুর প্রভাব দেখা দিয়েছিল। যার ফলে কয়েক হাজার শূকর মারা গিয়েছে। আর তাই এবার এই নতুন অসুখ ছড়িয়ে পড়া জায়গাগুলিতে শূকর নিধনের জন্য নামবে প্রশাসন। অক্টোবর মাস শেষ হওয়ার আগে অসমে ১২ হাজার শূকর মারা হবে বলে জানা গিয়েছে। প্রশাসন জানিয়েছে, মার্চ মাস থেকেই অসমের বিভিন্ন জায়গায় আফ্রিকান সোয়াইন ফ্লুর প্রভাবে শূকরের মৃত্যুর ঘটনা ঘটছিল। তার পর কয়েক মাসের মধ্যে সেখানে প্রায় ১৮ হাজার শূকরের মৃত্যু হয়েচে বলে জানাচ্ছে সরকারি হিসাব।
শূকর ফার্মের মালিকরা অবশ্য সরকারের হিসাব ভুল বলছেন। তাঁদের দাবি, গোটা রাজ্যে কম করে এক লাখ শূকর মারা গিয়েছে। আফ্রিকান সোয়াইন ফ্লুর কোনও ভ্যাকসিন নেই। ঘরোয়া ও বন্য শূকর এই রোগের প্রভাবে মারা যায়। ফার্মের মালিকদের দাবি, এই রোগে মৃত্যুর হার ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ। অর্থাত, একবার কোনও ফার্মে এই রোগ হানা দিলে আর রক্ষে নেই। দিনকয়েকের মধ্যে ফার্মের প্রায় সব শূকর মারা যায়। ফার্ম মালিকরা সরকারের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ করেছেন। তাঁরা বলছেন, কয়েক মাস আগেই তাঁরা প্রশাসনকে এই রোগের ব্যাপারে সতর্ক করেছিল। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এমনকী ব্যাপক ক্ষতি হলেও সরকারের তরফে কোনও ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হয়নি।
আরও পড়ুন- রাষ্ট্রসঙ্ঘে আজ প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ, জোর সওয়াল করতে পারেন সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে
আফ্রিকান সোয়াইন ফ্লু পশুদের থেকে মানুষের শরীরের ছড়ানোর কোনও রেকর্ড নেই। এই রোগের প্রভাবে সাধারণত শূকর মারা যায়। দূষিত চারা, জুতো, নোংরা কাপড় থেকে সাধারণত এই রোগের জীবাণি ছড়ায়। তবে করোনার পরিস্থিতির অসমের অনেক অঞ্চলের মানুষ আতঙ্কিত। প্রশাসনের তরফে তাদের আশ্বস্ত করা হচ্ছে।