গণবণ্টন ব্যবস্থা সংস্কারে উদ্যোগী কেন্দ্র, সায় নেই রাজ্যের
এবার গণবণ্টন ব্যবস্থা নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত চরমে। গণবণ্টন ব্যবস্থায় ভর্তুকিতে খাদ্যদ্রব্য বিতরণের চালু ব্যবস্থা তুলে দিতে চায় কেন্দ্র। কেন্দ্রের প্রস্তাব, রেশন দোকানে বাজারদরে খাদ্যদ্রব্য বিতরণ করে, ভর্তুকির টাকা সরাসরি উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দিয়ে দেওয়া হোক। এই প্রস্তাব খারিজ করে দিয়ে রাজ্য। তাদের দাবি, এই ব্যবস্থা চালু হলে গণবণ্টন ব্যবস্থা বিপদের মুখে পড়বে। কারণ ভর্তুকির টাকা অন্য কাজে লাগাতে পারেন গ্রাহক।
এবার গণবণ্টন ব্যবস্থা নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত চরমে। গণবণ্টন ব্যবস্থায় ভর্তুকিতে খাদ্যদ্রব্য বিতরণের চালু ব্যবস্থা তুলে দিতে চায় কেন্দ্র। কেন্দ্রের প্রস্তাব, রেশন দোকানে বাজারদরে খাদ্যদ্রব্য বিতরণ করে, ভর্তুকির টাকা সরাসরি উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দিয়ে দেওয়া হোক। এই প্রস্তাব খারিজ করে দিয়ে রাজ্য। তাদের দাবি, এই ব্যবস্থা চালু হলে গণবণ্টন ব্যবস্থা বিপদের মুখে পড়বে। কারণ ভর্তুকির টাকা অন্য কাজে লাগাতে পারেন গ্রাহক।
গণবণ্টন ব্যবস্থার সংস্কার নিয়ে সোম ও মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে সব রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রী কে ভি থমাস। সেই বৈঠকেই গণবণ্টন ব্যবস্থার বিকল্প মডেল পেশ করেন তিনি। এই মডেল অনুযায়ী, রেশন দোকানগুলিতে বাজারদরেই খাদ্যশস্য বিতরণ করা হবে। আর ভর্তুকির টাকা সরাসরি পৌঁছে দেওয়া হবে উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, জানুয়ারি থেকে ছটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরীক্ষামূলক ভাবে এই মডেল চালু করা হবে।
দেশজুড়ে এই ব্যবস্থা চালু করার বিষয়ে রাজ্যগুলির মতামত চেয়ে পাঠিয়েছেন তিনি। কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রীর বৈঠকে যোগ দেননি রাজ্যে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। গণবণ্টন নিয়ে কেন্দ্রের প্রস্তাবও পত্রপাঠ খারিজ করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। পশ্চিমবঙ্গের দাবি, গণবণ্টন ব্যবস্থাকে আরও বিপদের মুখে ফেলে দেবে এই ব্যবস্থা। কারণ এই টাকা অন্য কাজেও লাগাতে পারেন গ্রাহকরা। যদিও কেন্দ্রের দাবি, বিকল্প মডেল কখনই গণবণ্টন ব্যবস্থার ক্ষতি করবে না। এর ফলে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে কৃষকদের কাছ থেকে দানাশস্য সংগ্রহ ও গণবণ্টনের মাধ্যমে তা বিতরণের প্রচলিত ব্যবস্থায় কোনও প্রভাব পড়বে না বলেই আশ্বাস দিয়েছেন যোজনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান মন্টেক সিং আলুওয়ালিয়া।
যদিও, পশ্চিমবঙ্গের মতোই আরও কয়েকটি রাজ্যও কেন্দ্রীয় প্রস্তাবে আপত্তি জানিয়েছে বলে খবর। তাদের যুক্তি, এই ব্যবস্থা সঠিকভাবে রূপায়ণ করতে হলে ব্যাঙ্কিং পরিকাঠামোর ব্যাপক সম্প্রসারণ প্রয়োজন। কারণ চলতি আর্থিক বছরেই খাদ্যশস্যে কেন্দ্রীয় ভর্তুকির পরিমাণ ৯১ হাজার কোটি টাকা। আর উপভোক্তা গোটা দেশে প্রায় ১৮ কোটি পরিবার। এই বিশাল জনসংখ্যার কাছে বিকল্প ভর্তুকির সুবিধা পৌঁছে দিতে হলে ব্যাঙ্ক পরিষেবাকে পৌঁছতে হবে দেশের ঘরে ঘরে। অতি অল্প সময়সীমায় মধ্যে যা কার্যত অসম্ভব। ফলে ভর্তুকির সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে পারেন গ্রামীণ ভারতের বহু বিপিএল কার্ড হোল্ডার।