নতুন অফিস খুলে `বিশ্বাসঘাতক` সতীর্থদের তোপ ইয়েদুরাপ্পার

কন্নড় মুলুকের রাজনৈতিক মহলের ধারণা ছিল, বেআইনি আকরিক লোহা খনন মামলায় সিবিআই তল্লাশির মুখে পড়ার পর এখনই বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে সঙ্ঘাতের রাস্তায় হাঁটবেন না তিনি। কিন্তু সেই ধারণাকে ভুল প্রমাণিত করে এদিন বেঙ্গালুরু শহরের বুকে নিজস্ব কার্যালয় খুললেন বি এস ইয়েদুরাপ্পা।

Updated By: May 18, 2012, 05:01 PM IST

কন্নড় মুলুকের রাজনৈতিক মহলের ধারণা ছিল, বেআইনি আকরিক লোহা খনন মামলায় সিবিআই তল্লাশির মুখে পড়ার পর এখনই বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে সঙ্ঘাতের রাস্তায় হাঁটবেন না তিনি। কিন্তু সেই ধারণাকে ভুল প্রমাণিত করে এদিন বেঙ্গালুরু শহরের বুকে নিজস্ব কার্যালয় খুললেন বি এস ইয়েদুরাপ্পা। কর্নাটক বিজেপি`র সদর কার্যালয় মালেশ্বরম এলাকার ১৭ নম্বর ক্রস-এর অনতিদূরে টেম্পল স্ট্রিট-এর ১১ নম্বর ক্রস-এ রীতিমতো বাস্তুরীতি মেনে হল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর নয়া কার্যালয়ের উদ্বোধন। তাত্‍পর্যপূর্ণভাবে টেম্পল স্ট্রিট-এর এই বাড়িটিতেই দীর্ঘদিন ধরে ছিল রাজ্য বিজেপি`র অফিস।
সুপ্রিম কোর্টের তদন্তের নির্দেশের পর বুধবার সকালে ইয়েদুরাপ্পার বেঙ্গালুরুর ডলারস পার্কের বাসভবন ও শিমোগার বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। তল্লাসি চালানো হয়, তাঁর দুই ছেলে বিজয়েন্দ্র ও রাঘবেন্দ্র, এবং জামাই আর সোহনকুমারের বাডিতেও। শুধু অবৈধ আকরিক লোহা খননে মদত দেওয়া নয়, সরকারি জমি আত্মসাত্‍ করে বেসরকারি সংস্থাকে পাইয়ে দেওয়া এবং সেই টাকায় তাঁর পারিবারিক এনজিও `প্রেরণা এডুকেশেন সোসাইটি` চালানোর অভিযোগ রয়েছে কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর নামে। এই পরিস্থিতিতে ইয়েদুরাপ্পা মুখ্যমন্ত্রী পদ পেতে ব্যাকুল হলেও বিজেপি হাইকম্যান্ড মুখ্যমন্ত্রী সদানন্দ গৌড়াকে সরাতে রাজি হয়নি। এমনকি ইয়েদুরাপ্পার কট্টর বিরোধী হিসেবে পরিচিত কে এস এশ্বরাপ্পাকেও রাজ্য বিজেপির সভাপতি পদে বহাল রেখেছেন নীতিন গডকড়ি।
তবে শিকারিপুরার লিঙ্গায়েত নেতা যাতে দল না ভাঙেন, সেজন্য দলের দুই সর্বভারতীয় নেতা- অরুণ জেটলি এবং ধর্মেন্দ্র প্রধান লাগাতার তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করছেন। কল্যান সিং, উমা ভারতীদের উদাহরণ দিয়ে ইয়েদুরাপ্পাকে তাঁরা বলেছেন, দল ছাড়লে শেষ পর্যন্ত রাজনৈতিক প্রাসঙ্গিকতা হারাবেন তিনি। প্রাথমিকভাবে এই বার্তায় সাড়া দিয়ে ইয়েদুরাপ্পা জানিয়েছিলেন, আপাতত দল ছাড়ার কথা ভাবছেন না তিনি। কিন্তু এদিন অরুণ জেটলির কর্নাটক সফরের মধ্যেই রাজ্য বিজেপি কার্যালয়ের ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে নিজস্ব জনসংযোগ অফিস তৈরি করে ইয়েদুরাপ্পা `অন্য ইঙ্গিত` দিলেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। অবশ্য এদিন মিডিয়ার মুখোমুখি হয়ে নিজের একদা অনুগামী সদানন্দ গৌড়াকে `বিশ্বাসঘাতক` হিসেবে চিহ্নিত করলেও ইয়েদুরাপ্পা জানিয়েছেন, পাঁচ বছরের কার্যকালের মধ্যে সরকারের পতন ঘটানোর চেষ্টা করবেন না তিনি।

.