খুচরো ব্যবসায় বিদেশি বিনিয়োগে সিলমোহর কেন্দ্রের
শুক্রবার খুচরো ব্যবসায় ৫১% বিদেশি বিনিয়োগ মঞ্জুর করল কেন্দ্রের অর্থনীতি বিষয়ক মন্ত্রিগোষ্ঠী। পাশাপাশি, অসামরিক বিমান পরিবহন ক্ষেত্রেও ৪৯% প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ মেনে নিয়েছে কেন্দ্র। একশ কুড়ি কোটির দেশে ওয়াল মার্টের মতো সংস্থা গুলিকে সুযোগ করে দিতে গত বছরই খুচরো ব্যবসায় বিদেশি বিনিয়োগে অনুমোদন দেয় মনমোহন সিং নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার।
শুক্রবার খুচরো ব্যবসায় ৫১% বিদেশি বিনিয়োগ মঞ্জুর করল কেন্দ্রের অর্থনীতি বিষয়ক মন্ত্রিগোষ্ঠী। পাশাপাশি, অসামরিক বিমান পরিবহন ক্ষেত্রেও ৪৯% প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ মেনে নিয়েছে কেন্দ্র। একশ কুড়ি কোটির দেশে ওয়াল মার্টের মতো সংস্থা গুলিকে সুযোগ করে দিতে গত বছরই খুচরো ব্যবসায় বিদেশি বিনিয়োগে অনুমোদন দেয় মনমোহন সিং নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার।
কিন্তু এই সিদ্ধান্তের জেরে ঘরে বাইরে চাপের মুখে পড়ে কেন্দ্র। শুধু বিরোধীরাই নয় তৃণমূলের মতো শরিক দল গুলিও সংসদের ভিতরে ও বাইরে সমালোচনায় মুখর হয়। ফলত, গত ২৪ নভেম্বর থেকে এফডিআই এর সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখতে বাধ্য হয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। জট কাটাতে দফায় দফায় রাজ্য সরকার ও বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন গুলির সঙ্গেও আলোচনা করা হয়।
আজকের বৈঠকে তথ্য সম্প্রচার শিল্পের ক্ষেত্রেও বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ৭৪ শতাংশ সরাসরি বিনিয়োগ করতে পারবে বলে সদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্র খুচরো ব্যবসায় বিদেশি বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে না এলে 'কঠোর সিদ্ধান্ত' নিতেও পিছ পা হবে না বলে জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার ফেসবুকে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় "লুঠ চলছে লুঠ" বলে মন্তব্য করেন মমতা। অবিলম্বে এফডিআই সহ ডিজেলের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করলে তৃণমূল কংগ্রেস ইউপিএ জোট থেকে সরে আসতে পারে বলেও মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুকুল রায় দলের তরফে কেন্দ্রকে যে চিঠি পাঠিয়েছেন তাতেও সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছে।
আগামী ১৮ তারিখ বৈঠকে বসছে তৃণমূলের সংসদীয় কমিটি। বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে। তৃণমূলের তফরে কেন্দ্রকে যে চিঠি পাঠানো হয়েছে, তাতে ১৮ তারিখ বিকেল ৪ টে পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তার আগে কেন্দ্র যদি পুনর্বিবেচনা না করে, তাহলে তৃণমূল জোট বজায় রাখবে কিনা তা নিয়ে তাঁরা বিবেচনা করবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন।
পাশাপাশি কেন্দ্রের সমালোচনা করছে বিরোধী দল গুলিও। খুচরো ব্যবসায় বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে কেন্দ্রের ছাড়পত্রের তীব্র সমালোচনা করলেন বামেরা। এদিন সিপিআই নেতা ডি রাজা বলেন মনমোহন সিং সরকারের এই নীতিতে গরিব মানুষের সর্বনাশ হবে। অন্যদিকে, খুচরো ব্যবসায় বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার তাড়াহুড়ো করেছে বলে মন্তব্য করলেন বিজেপি নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদ।
চারটি রাষ্ট্রায়্ত্ত সংস্থার বিলগ্নিকরণের সিদ্ধান্তে সায় দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। নালকো, এমএমটিসি, অয়েল ইন্ডিয়া, হিন্দুস্তান কপারের ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগে সায় দিয়েছে মন্ত্রিসভা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করলেন সিপিআইএম সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ কারাত। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আন্দোলন হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এ রাজ্যে খুচরো ব্যবসায়ে বিদেশি বিনিয়োগে বাধা দেওয়া হবে। বহু ব্র্যান্ডের খুচরো ব্যবসায়ে ৫১ শতাংশ বিদেশি লগ্নির অনুমোদনের প্রেক্ষিতে এ কথা জানান বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র।