দেশের ১৩ রাজ্যকে রাজস্ব ঘাটতি পূরণে ৬,১৫৭ কোটি অনুদান কেন্দ্রের, বাংলার ভাগে ৪১৭ কোটি
দেশে করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকেই রাজ্যের বকেয়া নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব বাংলা
নিজস্ব প্রতিবেদন: মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে অন্য অনেককিছুর সঙ্গে রাজ্যের পাওনা টাকা মেটানোর দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রীর সাফ দাবি, করোনার এই আবহে বকেয়া না মেটালে কোভিড মোকাবিলা করা অসম্ভব। এর মধ্য়ে জিএসটি ক্ষতিপূরণ বাবদই রাজ্য পাবে ৪,১৫৩ কোটি টাকা। এছাড়াও পাওনা রয়েছে ৫৩,০০০ কোটি টাকা। মমতা বলেন, করোনা মোকাবিলায় এখনও পর্যন্ত ২৫,০০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে রাজ্য সরকারের। সেখানে মাত্র ১২৫ কোটি টাকা কেন্দ্রীয় সাহায্য পেয়েছে রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন-রুশ ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নিয়ে আগে নিশ্চিত হতে হবে, সতর্ক করলেন এইমস ডিরেক্টর
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর বিকেলেই রাজ্য সরকারের জন্য ৪১৭.৭৫ কোটি টাকা মঞ্জুর করল কেন্দ্র। তবে তা একা বাংলার জন্য নয়। মঙ্গলবার অর্থমন্ত্রকের এক নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের সুপারিশ মেনে দেশের ১৩ রাজ্যের রাজস্ব ঘাটতি পূরণ অনুদান বাবদ দেওয়া হচ্ছে মোট ৬,১৫৭.৭৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের ঘরে আসবে ৪১৭.৭৫ কোটি।
পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও ওই অর্থ প্রাপক রাজ্যগুলির তালিকায় রয়েছে অন্ধ্র, অসম, হিমাচলপ্রদেশ, কেরল, মেঘালয়, মণিপুর, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, পঞ্জাব, তামিলনাড়ু, ত্রিপুরা, উত্তরাখণ্ডের মতো রাজ্য। এনিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেন, ওই টাকা হাতে পেলে কোভিড মোকাবিলায় সুবিধে হবে রাজ্যগুলির।
আরও পড়ুন-রাজ্যের আবেদনে সায়, তৃতীয় দফায় ফের বন্ধ হচ্ছে বিমান পরিষেবা
উল্লেখ্য, দেশে করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকেই রাজ্যের বকেয়া নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব বাংলা। কয়েক মাস আগে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংসদীয় দলের একটি বৈঠক হয়। সেখানে রাজ্যের পাওয়া জিএসটি ক্ষতিপূরণ নিয়ে সরব হন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, রাজ্যের ওই পাওনা টাকা না দিলে, রাজ্যের নিয়মিত খরচ চালানোর পাশাপাশি করোনা মোকাবিলা করাও অসম্ভব। বাংলার দেখাদেখি এনিয়ে সরব হয় অন্যন্যা বিরোধী দলগুলিও । এছাড়া করোনা মোকাবিলা নিয়ে যখনই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠক হয়েছে সেখানেই বকেয়ার ব্যাপারে কথা তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলা যায় এতদনি তার কিছুটা সুফল পেল বাংলা।