দেশে হঠাৎই কমল মজুত টিকার সংখ্যা, সুপ্রিম কোর্টের হলফনামা প্রকাশে চাঞ্চল্য
২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের হাতে কত টিকা মজুত রয়েছে সেই হিসেব স্পষ্ট করতেই কমে গেল ৮০ কোটি ভ্যাকসিন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিরাট বদল মজুত ভ্যাকসিনে। ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের হাতে কত টিকা মজুত রয়েছে সেই হিসেব স্পষ্ট করতেই কমে গেল ৮০ কোটি ভ্যাকসিন। সুপ্রিম কোর্টের হলফনামায় যে কেন্দ্র জানিয়েছে, দেশের কাছে মজুত রয়েছে ১৩৫ কোটি ভ্যাকসিন। এই সংখ্যাটাই গত মে মাসে ছিল ২১৬ কোটি।
কোভিড ভ্যাকসিনের যে মজুত সংখ্যা প্রকাশ করেছিল কেন্দ্র, এবার সেই সংখ্যায় বিরাট বদল। এর আগে ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের হাতে কত টিকা মজুত রয়েছে সেই হিসেব স্পষ্ট করতেই কমে গেল ৮১ কোটি ভ্যাকসিন।
সুপ্রিম কোর্টের হলফনামায় জানান হয়েছে, দেশের কাছে মজুত রয়েছে ১৩৫ কোটি ভ্যাকসিন। অথচ গত গত মে মাসে বলা হয়েছিল যে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের কাছে মোট মজুত ভ্যাকসিনের পরিমাণ ২১৬ কোটি।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে ১৩মে যে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছিল সেখানে বলা হয়েছিল চলতি বছরের অগাস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের প্রতিটি প্রাপ্তবয়স্ককে টিকা দেওয়া সম্ভব। কারণ প্রায় ২১৬ কোটি ডোজ মজুত রয়েছে দেশে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক প্রাথমিক পরিসংখ্যান-
কোভিশিল্ড- ৭৫ কোটি, কোভ্যাক্সিন- ৫৫ কোটি, বায়োলজিকাল ই ভ্যাক্স- ৩০ কোটি, জাইডাস ক্যাডিলা- ৫ কোটি, নোভাভ্যাক্স- ২০ কোটি, ভারত বায়োটেক- ১০ কোটি, জেনোভা বায়ো ফার্মা- ৬ কোটি, স্পুটনিক ভি- ১৫ কোটি ৬০ লক্ষ।
আরও পড়ুন, Jammu Blast: ড্রোন ব্যবহার করে IED বিস্ফোরণ, উড়ে গেল বাড়ির ছাদ
তবে, শনিবার সুপ্রিম কোর্টের কাছে জমা দেওয়া হলফনামায় সরকার জানিয়েছে ২০২১ অগস্ট থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে ভারতে জনগণকে টিকা দেওয়ার জন্য কোভিড -১৯ টি ভ্যাকসিনের মাত্র ১৩৫ কোটি ডোজ পাওয়া যাবে। কেন্দ্র অবশ্য জানিয়েছে যে ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সবার জন্য টিকা সম্পূর্ণ করার চেষ্টা চলছে।
সরকারের দেওয়া হলফনামায় বলা হয়েছে, "দেশের মোট জনসংখ্যার মধ্য ১৮ বছর বা তারও বেশি বয়সী প্রায় ৯৩ থেকে ৯৪ কোটি। এই হিসাবে প্রত্যেককে দুটি ডোজ দেওয়ার জন্য আনুমানিক ১৮৬ থেকে ১৮৮ কোটি ভ্যাকসিন ডোজ প্রয়োজন। জুলাইয়ের মধ্যে ৫১ .৬ কোটি ডোজ উপলব্ধ হবে।"