ভোটের মুখে জোর ধাক্কা, দল ছেড়ে বিজেপিতে ছত্তিসগঢ় কংগ্রসের সভাপতি
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে ইতিমধ্যেই ছত্তিসগঢ় প্রার্থী তালিকা তৈরি করে ফেলেছে কংগ্রেস। তার মধ্যেই এই ধাক্কা
নিজস্ব প্রতিবেদন: কয়েক মাসের মধ্যেই বিধানসভা নির্বাচন ছত্তিসগঢ়ে। প্রাক নির্বাচনী সমীক্ষা অনুযায়ী এবার সেখানে ভালো ফল করতে পারে কংগ্রেস। এরমধ্যেই বড়সড় ধাক্কা খেল কংগ্রেস। রাজ্য কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি রামদয়াল উইকে কংগ্রেসের পাঠ চুকিয়ে যোগ দিলেন বিজেপিতে।
আরও পড়ুন-
রাজ্যের আদিবাসী নেতা হিসেবে রামদয়াল বেশ জনপ্রিয়। তার থেকেও বড় কথা তাঁর হাতেই রয়েছে রাজ্য কংগ্রেসের ভার। শনিবার বিলাসপুরে এক অনুষ্ঠানে তাঁকেই দলে বরণ করে নিলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ।
পালি-তানাখেরের এই বিধায়কের একটি পুরনো গেরুয়া ইতিহাস রয়েছে। ২০০০ সালে বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেন রামদয়াল। সেদিক থেকে দেখতে গেলে এটি রামদয়ালের একরকম ঘর ওয়াপসি বলা যেতে পারে। এদিনই অবশ্য ছত্তিসগঢ়ের বিশিষ্ট সাংবাদিক রুচির গর্গ রাহুল গান্ধীর উপস্থিতিতে কংগ্রেসে যোগ দেন। রুচির ছিলেন হিন্দি দৈনিক নবভারত-এর সম্পাদক।
উল্লেখ্। ২০০৩ সাল থেকে রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। ২০১৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি পেয়েছিল ৪৯ আসন। অন্যদিকে কংগ্রেস পায় ৩৯টি আসন। বিএসপি ও নির্দল পায় একটি করে আসন।
আরও পড়ুন-শতবর্ষে হুগলী জেলার প্রাচীনতম বারোয়ারি দুর্গাপুজো
রাজ্যে ৬৫টি আসন দখলের লক্ষ্যে ঘুঁটি সাজাচ্ছে বিজেপি। উইকের যোগদান দলের সেই লড়াইকে আরও মজবুত করবে বলে বিজেপি সূত্রে খবর। অন্যদিকে, কংগ্রেস এই ঘটনায় অবাক। দলের বিশিশ্ট নেতা টি এস সিংদেও সংবাদমাধ্যমে বলেন, এই ঘটনায় আমরা অবাক। তবে কংগ্রেস সবসময় প্ল্যান বি ভেবে রাখে। উনি যে আসনে লড়াই করতেন সেখানে শক্তিশালী প্রার্থী দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন-'টর্নেডো'র মতো তিতলির তাণ্ডব নন্দীগ্রামে, দেখুন ভিডিও
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে ইতিমধ্যেই ছত্তিসগঢ় প্রার্থী তালিকা তৈরি করে ফেলেছে কংগ্রেস। আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে তা ঘোষণাও করা হতে পারে। তার মধ্যেই এই ধাক্কা।
এবার ২ দফায় বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে ছত্তিসগঢ়ে। প্রথম দফার ভোটে রেয়েছে মাওবাদী অধ্যুসিত ১৮ জেলা। বাকী ৭২ জেলায় ভোটগ্রহণ করা হবে ২০ নভেম্বর।