Cheetah: চিতা ১০১! ভারতের নতুন বুনো অতিথি কেন আলাদা…
চিতা সবথেকে দ্রুতগামী স্থলচর প্রাণী। চিতার বৈজ্ঞানিক নাম Acinonyx jubatus। কিন্তু চিতা সবথেকে দ্রুতগামী স্থলচর প্রাণীর তকমা পেল কেন? চিতা নিজের গতিবেগ মাত্র তিন সেকেন্ডের মধ্যে শূন্য থেকে একশো কিলোমিটার পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারে। একারনেই চিতা সবথেকে দ্রুতগামী স্থলচর প্রাণী। যদিও ন্যাশানাল জিয়োগ্রাফির তথ্য অনুযায়ী চিতা মাত্র তিরিশ সেকেন্ডের জন্য এই গতিবেগ বজায় রাখতে পারে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ডেস্ক:সম্প্রতি ন্যাশানাল টাইগার কনজারভেশন অফ ইণ্ডিয়া ঘোষণা করেছিল মধ্যপ্রদেশের শেওপুর জাতীয় উদান্যের জন্য আনা হচ্ছে আটটি চিতা। সেই অনুযায়ী শেওপুর জাতীয় উদান্যের প্রস্তুতি তুঙ্গে। আগামীকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উদ্বোধন করবেন এই চিতা প্রকল্পের। যে আটটি চিতা নামিবিয়া থেকে আনা হচ্ছে তার মধ্যে পাঁচটি মহিলা এবং তিনটি পুরুষ। ১৯৫২ সালের পর আবারও ভারতের বুকে শোনা যাবে চিতাদের পদধ্বনি। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করা যায় চিতা সবথেকে দ্রুতগামী স্থলচর প্রাণী। চিতার বৈজ্ঞানিক নাম Acinonyx jubatus। কিন্তু চিতা সবথেকে দ্রুতগামী স্থলচর প্রাণীর তকমা পেল কেন? চিতা নিজের গতিবেগ মাত্র তিন সেকেন্ডের মধ্যে শূন্য থেকে একশো কিলোমিটার পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারে। একারনেই চিতা সবথেকে দ্রুতগামী স্থলচর প্রাণী। যদিও ন্যাশানাল জিয়োগ্রাফির তথ্য অনুযায়ী চিতা মাত্র তিরিশ সেকেন্ডের জন্য এই গতিবেগ বজায় রাখতে পারে।
চিতার শারীরিক গঠনও তাকে দ্রুতগামী করে তুলতে সাহায্য করে। এক্ষেত্রে চিতা সবথেকে বেশি সুবিধা পায় তার নমনীয় মেরুদণ্ডের কারণে। তাছাড়াও চিতা তার প্রসারিত রেটিনাল ফেভিয়ার জন্য যথেষ্টই তীক্ষ্ণ দৃষ্টির অধিকারী। স্মিথোসোনিয়ার জাতীয় চিড়িয়াখানার তথ্য অনুযায়ী জানা যাচ্ছে চিতাকে চিহ্নিত করা হয় তার লম্বা পা এবং ভোঁতা নখের দ্বারা। একইসঙ্গে চিতার পায়ের পেশিগুলি যথেষ্ট শক্তিশালী। সেই কারণেই অন্যান্য পশুর তুলনায় চিতা বেশি দ্রুতগামী। প্রাপ্তবয়স্ক চিতার দেহে দেখা যায় হলুদ বা কালো দাগ। এমনকি প্রাপ্তবয়স্ক চিতাকে চিহ্নিত করতে সাহায্য করে তাদের লেজও। প্রাপ্তবয়স্ক চিতার লেজে চার থেকে ছয়টি গোলাকার দাগ দেখা যায়। চিতা তার স্বাতন্ত্র্যের জন্য সুবিধা লাভ করে শিকার করার ক্ষেত্রেও। কারণ চিতা তার দেহের রঙের জন্য অতি সহজেই মিশে যেতে পারে জঙ্গলে। অর্থাৎ এই বিষয়ে নিঃসন্দেহ হওয়া চলে ক্যামাফ্লোজের ক্ষেত্রে চিতা যথেষ্ট পারদর্শী। চিতা পাওয়া যায় মূলত পূর্ব এবং দক্ষিণ আফ্রিকায়। প্রধানত তৃণভূমি অঞ্চলেই বসবাস করে এরা। তবে একথা ভাবলে ভুল হবে যে চিতা শুধু ভারতের বুকেই অবলুপ্ত ঘোষণা হয়েছে। ভারতের সঙ্গে আরও প্রায় তেরোটি দেশে অবলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে চিতাকে। চিতাকে গতিতে পাল্লা দিতে পারে একমাত্র জাগুয়ার। তবে জাগুয়ার তৃণভূমিতে নয়, মেলে হ্রদ বা নদী তীরবর্তী অঞ্চলে। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করা চলে বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলে বাঘের সংখ্যা কমলেও ভারতে তা বেড়েছে। যদিও চিতা আর বাঘ কখনই এক নয়।
নামিবিয়া থেকে আনানো চিতাগুলির জন্য তৈরি করা হয়েছে ‘চিতা মিত্র’ নামে একটি বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দল। প্রথমে তাদের রাখা হবে দীর্ঘ পর্যবেক্ষণে। চিতাগুলি শেওপুরের পরিবেশের সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিলে তবেই তাদের ছাড়া হবে জঙ্গলে।