মুসলিমরা জঙ্গি; ওদের চিকিত্সা করার অর্থ সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা, বিস্ফোরক মন্তব্য মেডিক্যাল কলেজ অধ্যক্ষের
ওই ভিডিয়োটি জাল বলে দাবি করেছেন আরতি। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, ভিডিয়োটি ৭০ দিন আগেকার। ওটি কাটাছোঁড়া করে আমার দুর্নাম করার চেষ্টা হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদন: তবিলিঘি জামাত সদস্যদের করোনা ছড়ানো নিয়ে বিতর্ক অনেকটাই থিতিয়ে গিয়েছে। কিন্তু তা খুঁচিয়ে তুলেছে কানপুরে গণেশশঙ্কর বিদার্থী মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডা আরতি লালচন্দ্রানীর বিস্ফোরক মন্তব্য। করোন আক্রান্ত মুসলিমদের চিকিত্সা করা নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন একটি ভিডিয়োতে। তবে আরতির দাবি ওই ভিডিয়োটি জাল।
আরও পড়ুন-জর্জ ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদে সোশ্যাল মিডিয়া ব্ল্যাক আউটে সামিল হলিউড থেকে আম জনতা!
ক্যামেরায় ধরা পড়েছে, আরতি মুসলিম করোনা রোগীদের সম্পর্কে বলছেন, ‘ওরা জঙ্গি। আমরা সরকারি সম্পত্তি ও পরিশ্রম ওদের পেছনে নষ্ট করছি। আমরা জঙ্গিদের আতিথেয়তা করছি। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া উচিত ওদের এখানে চিকিত্সা হবে না।’ প্রসঙ্গত ভিডিয়োটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে রবিবার।
Muslim COVID-19 patients should be killed, said by Indian Principal of Kanpur Medical College Dr. Arati Lalchandani exposed for Islamophobic content.
In an appalling video, Dr. Arati Lalchandani is seen pouring scorn on Muslim patients affected with COVID.
They are terrorists 1/3 pic.twitter.com/PRDc7BFmQW— Jan Khan (@JanKhan20104863) June 1, 2020
তবিলিঘি জামাতের সদস্যরা হাসপাতালে চিকিত্সক ও কর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছিল বলে অভিযোগ করেছিলেন আরতি। তাঁর বক্তব্য, জেলাশাসক বিষয়টি চেপে দেওয়ার চেষ্টা করেন। কারণ তিনি চলেন মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে। আমার বক্তব্য আমি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধনকে জানাব।
মুসলিম করোনা রোগীদের সম্পর্কে ওই ভিডিয়োতে আরতি বলেন, এইসব জঙ্গিদের চিকিত্সা করতো দূরের কথা সলিটারি জেলে রেখে পেটানো উচিত। জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া উচিত। মুসলিমদের চিকিত্সা করে আসলে তোষণ করছে রাজ্য সরকার। এরপর দেশের আর্থনৈতিক সংকট তৈরি হবে। মনে রাখতে হবে দেশের ১০০ কোটির জন্য নয়, বরং ওই ৩০ কোটি লোকের জন্য সংকট হবে।
আরও পড়ুন-১৯টির মধ্যে মাত্র ৪টি আসল! ভুয়ো কার্ড নিয়ে রেশন তোলার সময় হাতেনাতে ধৃত বিজেপি নেতা
এদিকে, ওই ভিডিয়োটি জাল বলে দাবি করেছেন আরতি। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, ভিডিয়োটি ৭০ দিন আগেকার। ওটি কাটাছোঁড়া করে আমার দুর্নাম করার চেষ্টা হয়েছে। তবলিঘির মতো শব্দ সুপার ইম্পোজ করে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর সাহায্যে আমাকে ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করেছিল এক সাংবাদিক। পুলিসের কাছে এনিয়ে এফআইআর করব। ওটি আমার ঘরে তোলা। তবলিঘি জামাত সদস্যরা আমাদের ওপরে কীভাবে দুর্ব্যবহার করেছিল তা বলছিলাম।