করোনায় মৃত সন্দেহে বৃদ্ধার দেহ সত্কারে বাধা, পুলিস, চিকিত্সকদের লক্ষ্য করে ইট, শূন্যে গুলি!
রেহাই পাননি চিকিত্সকরাও । উন্মত্ত গ্রামবাসীদের হাতে আক্রান্ত হন তাঁরাও । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শূন্যে গুলি চালায় পুলিস ।
নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনাতেই মৃত্যু হয়েছে। কেবলমাত্র এই সন্দেহের বশেই এক বৃদ্ধার মৃতদেহ সত্কারে বাধা স্থানীয়দের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে আক্রান্ত পুলিস। চলতে থাকে পুলিসকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্ট । রেহাই পাননি চিকিত্সকরাও । উন্মত্ত গ্রামবাসীদের হাতে আক্রান্ত হন তাঁরাও । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শূন্যে গুলি চালায় পুলিস । সোমবার সন্ধ্যায় ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে পঞ্জাবের এক প্রত্যন্ত গ্রাম অম্বালা ।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বৃদ্ধা দীর্ঘদিন ধরেই হাঁপানিতে ভুগছিলেন। ইদানীং তাঁর শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করান পরিবারের সদস্যরা। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর কিছুক্ষণের মধ্যে তিনি মারা যান। তাঁর দেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। এরপর দেহটি তুলে দেওয়া হয় জেলা প্রশাসনের হাতে। করোনায় মৃতদের দাহ করার যে নির্দিষ্ট জায়গা আছে, সেখানে তাঁকে দাহ করার ব্যবস্থা হয়। এমন সময় শ্মশানে হাজির হয় গ্রামের লোকজন।
মিউচুয়াল ফান্ডকে চাঙ্গা করতে ৫০ হাজার কোটি টাকা ঢালল RBI, প্রশংসা পি চিদম্বরমের
পরীক্ষার ফল বেরনোর আগেই গ্রামবাসীরা ধরে নেন, ওই বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে করোনাতেই। তাঁর দেহ সত্কারে বাধা দেন তাঁরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস গেলে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়। পুলিসকে দেখেই ইট ছুড়তে থাকেন তাঁরা। হামলা চলে চিকিত্সকদের ওপরেও। আম্বালা ক্যান্টনমেন্টের ডিএসপি রাম কুমার বলেন, "আমরা গ্রামবাসীদের অনেক বোঝানোর চেষ্টা করি যে ভয়ের কিছু নেই। প্রশাসন পাশে রয়েছে। রোগ যাতে না ছড়ায়, সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু গ্রামবাসীদের শান্ত করা সম্ভব হয়নি।"
উত্তেজিত গ্রামবাসীদের ছত্রভঙ্গ করতে শূন্যে গুলি চালায় পুলিস। কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সরকারি কাজে বাধা, পুলিসের ওপর হামলা-সহ একাধিক ধারায় তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।