Cow Smuggling Case: বিপদ বাড়ল অনুব্রতর! সায়গলকে দিল্লিতে এনে জেরার অনুমতি আদালতের
Cow Smuggling Case: কেন দিল্লিতে এনে সায়গলকে জেরা করাতে চাওয়া হচ্ছে তার বিস্তারিত তথ্য ও যুক্তি পেশ করে ইডি। তারপর বিকেল চারটে নাগাদ সায়গলকে দিল্লি এনে জেরা করা আবেদনে সবুজ সংকেত দেয় আদালত
জ্যোতির্ময় কর্মকার: গোরুপাচার মামলায় জড়িয়ে আসানসোলের জেলে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। সেখানেই রয়েছে তার প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। দুজনেই তদন্তকারীদের তেমন কিছুই তথ্য দিচ্ছে না বলে জানা গিয়েছিল। ফলে ইডি আগেই দাবি করেছিল, সায়গলকে দিল্লিতে এনে জেরা করতে হবে। এবার ইডির সেই আবেদন মঞ্জুর করল দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউয়ের আদালত। আদালতের নির্দেশে সায়গলকে হেফাজতে নিতে পারবে ইডি। পাশাপাশি তাকে জেরাও করা যাবে। এই নির্দেশের ফলে স্বাভবতই চাপ বাড়ল অনুব্রত মণ্ডলের উপরে। কারণ গোরুপাচার কাণ্ডের প্রচুর তথ্য সায়গল হোসেনের কাছে রয়েছে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা।
আরও পড়ুন-সুখবর! এবার ভাইফোঁটায়ও ছুটি ঘোষণা রাজ্যের
বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতির দেহরক্ষী সায়গায় হোসেন যেমন তাঁর দেহরক্ষী ছিল তেমনই তাঁর অনেককিছু কর্মকাণ্ডের সঙ্গেও জড়িয়ে ছিল। ফলে তার কাছে অনুব্রত ও গোরুপাচার সংক্রান্ত বিষয়ে প্রচুর তথ্য রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তাই সায়গলকে জেরা করার জন্য আসানসোল আদালত ও কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। দুটি ক্ষেত্রেই যে প্রশ্নটা ওঠে তা হল এক্তিয়ার। কারণ ওই দুই আদালতের কারও এক্তিয়ার নেঅ সায়গালকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জোরার অনুমতি দেওয়ার। এমনই কথা উঠে এসেছিল। এরপরই ইডি দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউয়ের আদালতে এনিয়ে আবেদন করে। আজ দুপুর দুটো নাগাদ এনিয়ে শুনানি হয়। কেন দিল্লিতে এনে সায়গলকে জেরা করাতে চাওয়া হচ্ছে তার বিস্তারিত তথ্য ও যুক্তি পেশ করে ইডি। তারপর বিকেল চারটে নাগাদ সায়গলকে দিল্লি এনে জেরা করা আবেদনে সবুজ সংকেত দেয় আদালত।
এদিকে, গোরুপাচার মামলায় তদন্তে উঠে এসেছে বিপুল সম্পত্তির মালিক সায়গল হোসেন। প্রায় একশো কোটি টাকার মালিক। একজন দেহরক্ষীর কীভাবে ওই বিপুল টাকা থাকতে পারে তা নিয়ে বিভিন্ন তথ্য উঠে আসছে। এমনকী তাঁর বাড়ির পরিচারক এবং পরিচারিকার নামেও সম্পত্তি কেনা রয়েছে ৷ আর সেই সম্পত্তির পরিমাণ নিছক কম নয় ৷ এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির উৎস কী? এসব তথ্য জানতেই সায়গলকে জেরা করতে চায় ইডি।
সায়গলকে জেরা করতে চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করে ইডি। সেই মামলার শুনানিতে গত ১১ অক্টোবর ইডিকে কিছুটা ধমকই দেয় আদালত। শুনানিতে কোর্ট বলে, 'কলকাতা আদালত কি পোস্ট অফিস! এখানে কলকাতা কোর্ট কি করবে?' প্রসঙ্গত, ৯ জুন সিবিআই সায়গল হোসেনকে গ্রেফতার করেছিল। গতকাল ইডিকে দীর্ঘ সময় জেরা করার পর সন্তুষ্ট না-হওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু সিবিআই বিশেষ আদালত বন্ধ থাকায় আসানসোল জেলা আদালতে সায়গল হোসেনকে হেফাজতে নিয়ে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার আবেদন করে ইডি।