মোদী নন, হিন্দুত্ব নিয়ে বলতে পারেন ব্রাহ্মণরা, মন্তব্যে রাহুলের বকুনি খেয়ে ক্ষমা চাইলেন জোশী

রাজস্থানে ভোটপ্রচারে বিতর্কিত মন্তব্য সিপি জোশীর। 

Updated By: Nov 23, 2018, 05:01 PM IST
মোদী নন, হিন্দুত্ব নিয়ে বলতে পারেন ব্রাহ্মণরা, মন্তব্যে রাহুলের বকুনি খেয়ে ক্ষমা চাইলেন জোশী

নিজস্ব প্রতিবেদন: রাহুল গান্ধীর বকুনি খেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইলেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা সিপি জোশী। টুইটারে কংগ্রেস সভাপতি লিখেছেন, কংগ্রেসের আদর্শ বিরোধী মন্তব্য করেছেন সিপি জোশী। সমাজের কোনও অংশকে আঘাত করার মতো বক্তব্য রাখা অনুচিত। বলে রাখি, রাজস্থানে ভোটপ্রচারে সিপি জোশী মন্তব্য করেন, হিন্দুত্ব নিয়ে কথা বলার যোগ্যতা রয়েছে শুধুমাত্র ব্রাহ্মণদের। 

রাজস্থানে আগামী মাসে ভোটগ্রহণ। ভোটপ্রচারে প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করে দলের প্রার্থী সিপি জোশী বলেন,''উমা ভারতী লোধি। অথচ হিন্দুত্ব নিয়ে কথা বলছেন। মোদীও হিন্দুত্বের কথা বলে বেড়ান। কিন্তু একমাত্র ব্রাহ্মণরাই বলেন না। ৫০ বছরে তাঁরা হারা গিয়েছেন। দেশকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। ধর্ম ও প্রশাসন একেবারে ভিন্ন ব্যাপার। সকলের নিজ ধর্মচারণের অধিকার রয়েছে। ওরা বলছে, কংগ্রেস নেতারা হিন্দু নন। কে ওদের শংসাপত্র দিতে বলেছে? কোনও বিশ্ববিদ্যালয় খুলেছে নাকি ওরা? একমাত্র ব্রাহ্মণরাই হিন্দুত্বের ব্যাপারে জানেন''। এই ভিডিওটি টুইট করে বিজেপি নেতা হর্ষ সাঙ্ঘভি মন্তব্য করেন, 'লজ্জাজনক মন্তব্য করেছেন কংগ্রেস নেতা সিপি জোশী। মোদীকে নিচুজাতের লোক বলে উল্লেখ করেছেন উনি''।     

রাজস্থানে বসুন্ধরা রাজে সরকারের বিরুদ্ধে জোর প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার হাওয়া। এই পরিস্থিতিতে সিপি জোশীর এই ধরনের মন্তব্য দলের ক্ষতি করতে পারে বলে রাহুল গান্ধীকে অবহিত করেন কংগ্রেস নেতারা। এরপরই সিপি জোশীকে সতর্ক করে দেন রাহুল গান্ধী। ক্ষমা চাইতেও নির্দেশ দেন। রাহুলের নির্দেশে নিজের মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চান সিপি জোশী। টুইটারে রাহুল লেখেন, ''সিপি জোশীর বক্তব্য কংগ্রেসের আদর্শ বিরোধী। দলের নেতারা এমন কোনও মন্তব্য করবেন না, যা সমাজের কোনও অংশকে আঘাত করে। কংগ্রেসের নীতি ও কর্মীদের ভাবনার সম্মান করে নিজের ভুল বুঝতে পারবেন সিপি জোশী। নিজের বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চাওয়া উচিত তাঁর''।  

এটাই প্রথম নয়, ভোটপ্রচারে ইতিমধ্যেই একাধিক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যা বিড়ম্বনা বাড়িয়েছে কংগ্রেসের। বলে রাখি, গুজরাটে বিধানসভা ভোটের আগে কংগ্রেস নেতা মণিশঙ্কর আইয়ারের নীচ মন্তব্যের দাম চোকাতে হয়েছিল দলকে। মণিশঙ্করকে সাসপেন্ড করে কংগ্রেস। পরে অবশ্য দলে ফেরেন।

আরও পড়ুন- প্রতিকূলতা সত্ত্বেও আলাদা হতে নারাজ দুই ভাই, দেখুন ভাইরাল ভিডিও

.