প্রথম বার ট্রেন পৌঁছল দক্ষিণ ত্রিপুরার সাব্রুমে, দেখতে ভিড় জমালেন সাধারণ মানুষ

দক্ষিণ ত্রিপুরার বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী সাব্রুমে প্রথম বার পৌঁছল রেলের ইঞ্জিন। রবিবার মাঝরাতে পরীক্ষামূলকভাবে চালানো ইঞ্জিনটি পৌঁছলে সেটি দেখতে ভিড় জমায় উত্সাহী সাব্রুমবাসী। খুব শীঘ্রই শুরু হবে বিলোনিয়া-সাব্রুম যাত্রীবাহী রেল চলাচল।

Updated By: Jun 24, 2019, 06:37 PM IST
প্রথম বার ট্রেন পৌঁছল দক্ষিণ ত্রিপুরার সাব্রুমে, দেখতে ভিড় জমালেন সাধারণ মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদন: দক্ষিণ ত্রিপুরার বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী সাব্রুমে প্রথম বার পৌঁছল রেলের ইঞ্জিন। রবিবার মাঝরাতে পরীক্ষামূলকভাবে চালানো ইঞ্জিনটি পৌঁছলে সেটি দেখতে ভিড় জমায় উত্সাহী সাব্রুমবাসী। খুব শীঘ্রই শুরু হবে বিলোনিয়া-সাব্রুম যাত্রীবাহী রেল চলাচল।

রেলের পরিষেবা থেকে দীর্ঘকালবঞ্চিত ছিলেন দক্ষিণ ত্রিপুরার মানুষ। পথের পাঁচালীর অপু-দুর্গার মতোই, দক্ষিণ ত্রিপুরার সাব্রুমের মানুষের কাছে ট্রেন দেখার ভাবনা ছিল স্বপ্নের মতো। অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর হল স্বপ্নপূরণ। রবিবার সাব্রুমের সদ্য নির্মিত প্ল্যাটফর্মে পৌঁছল প্রথম ইঞ্জিন। 

গত আট-নয় বছরে ত্রিপুরার রেল পরিষেবা অনেকটাই বিস্তৃত হয়েছে। ২০০৭-০৮ সালের বাজেটে প্রথম আগরতলা-সাব্রুম রেললাইন প্রকল্পের ঘোষণা করা হয়। ত্রিপুরায় মোট জেলার সংখ্যা ৮টি। তার মধ্যে চারটি জেলার উপর দিয়ে বসানো হয়েছে প্রায় ১১৫ কিলোমিটার রেললাইন। সারা দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে 'ব্রড গেজ' হয়েছে ত্রিপুরার রেললাইন। রেলপথে সারা দেশের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ত্রিপুরা। তা সত্ত্বেও গোটা দেশের নিরিখে ত্রিপুরার রেলপথ ছিল বেশ পিছিয়ে। তার মূল কারণ দক্ষিণ ত্রিপুরায় পর্যাপ্ত রেললাইনের অভাব। রেলপথে যাতায়াত কার্যত স্বপ্ন ছিল দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার বাসিন্দাদের। 

আরও পড়ুন: কংগ্রেসের প্রকল্পের নাম ভঙিয়ে নিজের নামে চালিয়ে যাচ্ছেন মোদী, সংসদে দীর্ঘ তালিকা তুলে ধরলেন অধীর

কয়েক মাস আগেই দক্ষিণ ত্রিপুরার জেলা সদর বিলোনিয়ায় রেল পরিষেবা চালু হয়েছে। এই লাইনেরই দক্ষিণতম প্রান্তে সাব্রুম। গত কয়েক বছর ধরে দ্রুতগতিতে চলেছে রেললাইন তৈরির কাজ। বিলোনিয়া স্টেশন থেকে প্রায় ৩৯.১ কিমি দীর্ঘ লাইনে যুক্ত করা হয় সাব্রুম। অবশেষে সেই লাইনে পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হল দুটি ইঞ্জিন।

রবিবার গভীর রাতে পরীক্ষামূলকভাবে বিলোনিয়া-সাব্রুম লাইনে দুটি ইঞ্জিন চালানো হয়। প্রতিটি ইঞ্জিনের সঙ্গে ছিল দু'টি বগি। একটি ইঞ্জিন পৌঁছয় মনুবাজার স্টেশন। অপর ইঞ্জিনটি পৌঁছয় সাব্রুম। রেল ইঞ্জিনের শব্দে মাঝরাতেই ঘুম ভেঙে যায় স্টেশন সংলগ্ন বাসিন্দাদের। ট্রেন দেখতে স্টেশনে ভিড় জমান অসংখ্য মানুষ। দীর্ঘ দিনের প্রতীক্ষার শেষে ট্রেনের আগমনে জনগনের উত্সাহ ছিল দেখার মতো। সোমবার সকালের মধ্যেই ট্রেন আসার খবর ছড়িয়ে যায় জেলা-জুড়ে। সাব্রুমের প্রথম ট্রেন দেখতে ভিড় জমায় সাধারণ মানুষ। 

রেল কর্তৃপক্ষ জানায়, আরও কয়েক বার পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হবে বেশ কয়েকটি ইঞ্জিন। পরবর্তী পর্যায়ে পাথর বোঝাই করে ট্রেন চালানো হবে নতুন লাইনে। তার পরেই সবুজ সংকেত পাবে যাত্রীবাহি রেল পরিষেবা। 

দীর্ঘ দিনের চাহিদা মেটায় খুশি সাব্রুমবাসী। রেলপথ চালু হলে ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নতি হবে, আশা সাধারণ মানুষের। সাব্রুম থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছুটুক দূরপাল্লার ট্রেন, দাবি তাদের।

.