নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা ছাঁটাই, বিতর্ক এড়াল কেন্দ্র

নির্বাচন কমিশন না কী আদালত ? নির্বাচনী আচরণবিধি প্রয়োগের ক্ষমতা কার হাতে থাকবে তা নিয়ে এবার নতুন বিতর্কে জড়িয়ে পড়ার পর দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রেণ সক্রিয় হল কেন্দ্র।

Updated By: Feb 22, 2012, 04:02 PM IST

নির্বাচন কমিশন না কী আদালত ? নির্বাচনী আচরণবিধি প্রয়োগের ক্ষমতা কার হাতে থাকবে তা নিয়ে এবার নতুন বিতর্কে জড়িয়ে পড়ার পর দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রেণ সক্রিয় হল কেন্দ্র। বুধবার প্রণব মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিগোষ্ঠীর বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী সচিবালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভি নারায়ণস্বামী পুরো বিষয়টাকেই `মিডিয়ার জল্পনা` বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।
উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা ভোটের প্রচারে সংখ্যালঘু সংরক্ষণ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে দলের দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সলমন খুরশিদ এবং বেণীপ্রসাদ বর্মা নির্বাচন কমিশনের নিশানা হওয়ার পর থেকেই কংগ্রেস নেতৃত্বের একাংশ দাবি করছেন, নির্বাচনী আচরণবিধিকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়া হোক। এবং তা প্রয়োগের ক্ষমতা তুলে দেওয়া হোক আদালতের হাতে। নির্বাচন কমিশনের বদলে আদালতই বিচার করে দেখুক, কোনও নেতা ভোট প্রচারে গিয়ে আচরণবিধি ভেঙেছেন কি না। এআইসিসি`র মুখপাত্র মণীশ তিওয়ারি কয়েকদিন আগে বলেছিলেন, `আশা করব, এ বারের ভোটপর্ব শেষ হলে আদর্শ আচরণবিধিকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়ার কথা ভাববে নির্বাচন কমিশন।` কোনও নেতা বা প্রার্থী নির্বাচন আচরণবিধি ভেঙেছেন কি না, তা ঠিক করা এবং তাঁদের নোটিস পাঠানোর অধিকার আদৌ নির্বাচন কমিশনের রয়েছে কি না, সেই প্রশ্নও তোলেন পঞ্জাবের এই কংগ্রেস সাংসদ। প্রধান শাসকদলের এই ভূমিকায় যথেষ্ট ক্ষুন্ন হয়েছিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এস ওয়াই কুরেশি।

বিরোধী নেতৃত্বের অভিযোগ, গোটা প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে আসলে নির্বাচন কমিশনের অধিকার খর্ব করার চেষ্টা করছে কংগ্রেস তথা ইউপিএ। কয়েক`টি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট জানাচ্ছে, ইউপিএ সরকারের `গোপন কর্মসূচি`র মধ্যে রয়েছে, আইনি স্বীকৃতির প্রসঙ্গ উত্থাপন করে নির্বাচনী বিধিভঙ্গ সম্পর্কিত অভিযোগ যাচাইয়ের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের হাত থেকে কেড়ে নেওয়া। এই পরিস্থিতিতে বুধবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন দুর্নিতী দমন বিষয়ক মন্ত্রিগোষ্ঠীর বৈঠকে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলেও পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। যদিও মন্ত্রিগোষ্ঠীর সদস্যদের তরফে এই খবরকে পুরোপুরি ভিত্তিহীন বলে দাবি করে জানান হয়েছে, আদৌ নির্বাচন কমিশনের অধিকার ও ক্ষমতা খর্ব করার কোনও অভিপ্রায় নেই ইউপিএ সরকারের।

.