আশি বছর পর ঠাকুর ‘শাসিত’ গ্রামে কড়া পুলিসি নিরাপত্তায় বেরল দলিত বরযাত্রী দল

বিয়েতে নিরাপত্তা দেওয়ার আবেদন করে আদালতে গিয়েছিলেন কাসগঞ্জের আইনের ছাত্র সঞ্জয় ‌যাতভ। তাঁর বক্তব্য ছিল, গ্রামের ঠাকুর সম্প্রদায় তাঁকে গোড়ায় চেপে গ্রামের মধ্যে দিয়ে বিয়ে করতে ‌যেতে বাধা দিচ্ছে। এতে তিনি নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন

Updated By: Jul 16, 2018, 11:28 AM IST
আশি বছর পর ঠাকুর ‘শাসিত’ গ্রামে কড়া পুলিসি নিরাপত্তায় বেরল দলিত বরযাত্রী দল

নিজস্ব প্রতিবেদন: আশি বছরে এই প্রথম। মামলা জিতে বর‌যাত্রী নিয়ে গ্রামে থেকে বের হলেন এক দলিত তরুণ। তবে তাঁর নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করা হয়েছিল ১৫০ জন পুলিস কর্মী। পশ্চিম উত্তর প্রদেশের কাসগঞ্জের এই হাই সিকিউরিটি বিয়ে নজর কেড়েছে রাজ্যের।

অারও পড়ুন-মস্কোতে পেলেকে স্পর্শ করলেন এমবেপে  

বিয়েতে নিরাপত্তা দেওয়ার আবেদন করে আদালতে গিয়েছিলেন কাসগঞ্জের আইনের ছাত্র সঞ্জয় ‌যাতভ। তাঁর বক্তব্য ছিল, গ্রামের ঠাকুর সম্প্রদায় তাঁকে গোড়ায় চেপে গ্রামের মধ্যে দিয়ে বিয়ে করতে ‌যেতে বাধা দিচ্ছে। এতে তিনি নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন। সেই মামলায় তিনি জিতে ‌যান। তার পরই পুলিস এলাহি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে।

রবিবার ঘোড়ার গাড়ি চড়ে বর‌যাত্রী নিয়ে বিয়ে করতে বের হন সঞ্জয়। তাঁর নিরাপত্তায় এলাহি ব্যবস্থা করা হয়। ১৫০ জন পুলিস কর্মী তো বটেই মোতায়েন ছিলেন পুলিস আধিকারিকও। রাস্তার দুধারে একাধিক বাড়ির মাথায় বন্দুরাধী পুলিস মোতায়েন করা হয়।

আরও পড়ুন-‘ফরাসি বিপ্লবে’ নাচলেন ম্যাক্রোঁ, টুইটে লিখলেন ‘মার্সি’!

সঞ্জয়ের স্ত্রী শীতল সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, ‘এই দিনটার জন্য বহু বাধা পেরতে হয়েছে। গ্রামের ঠাকুর-রা আমাদের বর‌যাত্রী নিয়ে বেরোতে দিত না। বিয়েতে লোকজনদের গ্রামের মধ্যে দিয়ে ‌যেতে দিত না।’

আদালতে মামলা করার পাশাপাশি সঞ্জয় খোদ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এনিয়ে অভি‌যোগ করেন। পুলিস প্রথমে নিরাপত্তা দিতে না চাইলেও পরে চাপে পড়ে রাজি হয়।

.