দাউদের আস্তানার হদিশ দিল সঙ্গী টাকলা
করাচিতে দাউদের বাড়ি, তার নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ব্যবসা সংক্রান্ত বহু তথ্য উগরে দিয়েছে টাকলা। তদন্তকারী অফিসারদের ফারুক জানিয়েছে, করাচির পশ ক্লিফটন এলাকায় রয়েছে দাউদের বিলাসবহুল বাংলো
নিজস্ব প্রতিবেদন: ভারত বরাবরই বলে আসছে করাচিতে নিরাপদ আশ্রয়ে রাখা হয়েছে মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিমকে। সেই দাবিরই প্রমাণ মিলল এবার। ডি কোম্পানি প্রধানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ফারুক টাকলাকে চাপ দিতেই বেরিয়ে এল দাউদ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। গত সপ্তাহে দিল্লি বিমানবন্দরে গোয়েন্দাদের জালে পড়ে যায় ফারুক।
গোয়েন্দাদের কাছে কী বলেছে ফারুক? সূত্রের খবর, করাচিতে দাউদের বাড়ি, তার নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ব্যবসা সংক্রান্ত বহু তথ্য উগরে দিয়েছে টাকলা। তদন্তকারী অফিসারদের ফারুক জানিয়েছে, করাচির পশ ক্লিফটন এলাকায় রয়েছে দাউদের বিলাসবহুল বাংলো। পাকিস্তানে কোনও বিদেশি ভিভিআইপি এলে প্রতিবারই দাউদকে কোনও ‘নিরাপদ’ জায়গায় লুকিয়ে ফেলে পাক প্রশাসন।
টাকলা জানিয়েছে, ওই নিরাপদ জায়গাটির নাম ‘আন্ডা গ্রুপ অব আইল্যান্ড’। দাউদের স্ত্রী ও দাউদ ছাড়া ওই জায়গায় কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয় না। ‘ভাই’য়ের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে পাক রেঞ্জার্স।এছাড়া দাউদ কোথাও গেলে তার ব্যবস্থা করে পাকিস্তান কোস্ট গার্ড।
আরও পড়ুন-নূন্যতম ব্যালান্স না রাখার ক্ষেত্রে জরিমানা কমাল স্টেট ব্যাঙ্ক
কোনও বিশেষ কাজে দাউদকে জরুরি ভিত্তিতে আমিরশাহি যেতে হলে তারও ব্যবস্থা করে পাক কোস্ট গার্ড। মাত্র ৬ ঘণ্টার দাউদকে সেখানে পৌঁছে দিতে পারে তারা। এমনটাই দাবি টাকলার। কেননা সে নিজেই একবার জলপথে আমিরশাহিতে যাওয়া দাউদকে ‘রিসিভ’ করেছিল। ২০০৫-০৬ সালে ছোটা রাজনের লোকজন পাকিস্তানে দাউদকে মারার চেষ্টা করেছিল। শুধু তাই নয়, পাকিস্তানের মাফিয়া গ্রুপগুলিও দাউদকে খুন করার চেষ্টা করে। ফলে তার জন্য কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়।
উল্লেখ্য, দাউদের এই সঙ্গী থাকতো দুবাইয়ে। পুলিসের চোখে ধুলো দিতে সে সেখানে ট্যাক্সি চালাত। দুবাইয়ে তার ২টি ছেলে রয়েছে। একজন ইতিমধ্যেই পোস্ট গ্রাজুয়েশন পাস করেছে। অন্যজন গ্রাজুয়েশন করছে। বিদেশে থাকলেও তার মন পড়ে থাকে দেশে। এমনটাই জানিয়েছে টাকলা। কারণ দেশে তার ভাইয়ের কাছে থাকে তার অসুস্থ মা। এখানেই সে মরতে চায়।