সরকার ছাড়ছে ডিএমকে
দ্বিতীয় ইউপিএ সরকার চরম সঙ্কটে ফেলে সরকার ছাড়ল ডিএমকে। বাইরে থেকেও সরকারকে সমর্থন জানাবে না তাঁর দল, আজ এই কথা জানিয়েছেন ডিএমকে কুলপতি করুণানিধি। মন্ত্রিসভার পাঁচ সদস্য সহ ডিএমকের ১৮ সাংসদ ইস্তফা দিলে ইউপিএর আসন সংখ্যা ২৪৮ থেকে নেমে আসবে ২৩০-এ। তৃণমূল জোট ছাড়ার পর এমনিতেই দুর্বল হয়ে পড়ে ইউপিএ। এসপি (২২ জন সাংসদ) এবং বিএসপির (২১ জন সাংসদ) বাইরে থেকে সমর্থনের ফলে ম্যাজিক ফিগার নাগালের মধ্যে থাকলেও ডিএমকে সরকার ছাড়ায় স্বাভাবিকভাবেই কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে দ্বিতীয় সরকার।
দ্বিতীয় ইউপিএ সরকার চরম সঙ্কটে ফেলে সরকার ছাড়ল ডিএমকে। বাইরে থেকেও সরকারকে সমর্থন জানাবে না তাঁর দল, আজ এই কথা জানিয়েছেন ডিএমকে কুলপতি করুণানিধি। মন্ত্রিসভার পাঁচ সদস্য সহ ডিএমকের ১৮ সাংসদ ইস্তফা দিলে ইউপিএর আসন সংখ্যা ২৪৮ থেকে নেমে আসবে ২৩০-এ। তৃণমূল জোট ছাড়ার পর এমনিতেই দুর্বল হয়ে পড়ে ইউপিএ।
এসপি (২২ জন সাংসদ) এবং বিএসপির (২১ জন সাংসদ) বাইরে থেকে সমর্থনের ফলে ম্যাজিক ফিগার নাগালের মধ্যে থাকলেও ডিএমকে সরকার ছাড়ায় স্বাভাবিকভাবেই কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে দ্বিতীয় সরকার। তবে ২১ মার্চের মধ্যে রাষ্ট্রসংঘে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রস্তাবে ডিএমকের দাবি মেনে সংশোধনী আনলে তারা সিদ্ধান্ত বিবেচনা করবে বলেও জানান হয়েছে।
নয়াদিল্লি রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার পরিষদে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান না নিলে এর আগেই চরমসীমা দিয়েছিলেন করুণানিধি। গতকালই তিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদম্বরম, এ কে অ্যান্টনি এবং গুলাম নবি আজাদ বৈঠক করেন ডিএমকে-কুলপতির সঙ্গে। সেই বৈঠকও ফলপ্রসু হয়নি।
রাষ্ট্রসংঘে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রস্তাব আনবে আমেরিকা। ওই প্রস্তাবকে আরও কঠোর করার জন্য, ভারত যাতে সংশোধনী প্রস্তাব আনে, তার জন্য শুরু থেকেই দাবি জানিয়ে আসছে ডিএমকে। তাদের দাবি, খসড়া প্রস্তাবে গণহত্যা শব্দটি উল্লেখ করতে হবে। সেই সঙ্গে গোটা ঘটনার আন্তর্জাতিক তদন্ত করাতে হবে। কেন্দ্র দাবি না মানলে ইউপিএ থেকে সরে আসার হুমকি দেন দলের প্রধান করুণানিধি। আবার সরকারের পক্ষেও দক্ষিণ এশিয়ার কূটনীতির স্বার্থে রাষ্ট্রসংঘে শ্রীলঙ্কার বিরোধিতা করা কঠিন।
দলীয় বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনার পর এবিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান করুণানিধি। তবে করুণানিধির পক্ষে আপোস করার সম্ভাবনা শুরু থেকেই বেশ কম ছিল। কারণ দক্ষিণী রাজ্যে তাঁর প্রবল প্রতিপক্ষ এআইএডিএমকে নেত্রী জয়ললিতাও এই ইস্যুতে আদাজল খেয়ে ময়দানে নেমেছেন।