মুজাফফরনগর Mahapanchayat-এ জনজোয়ার, শনিবার থেকে গাজিপুর আসছেন BKU সদস্যরা

নিজস্ব প্রতিবেদন: কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েতের কান্না ও অবেগঘন বক্তব্যের পর বদলে গেল ছবিটা। গণতন্ত্র দিবসে দিল্লিতে অশান্তির পর কৃষকদের উপরে চাপ বাড়াতে থাকে পুলিস। পাল্টা মুজাফফরনগরে কিষাণ মহাপঞ্চায়েত ডাকে ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন(BKU)। শনিবার সেই মহাপঞ্চায়েতে দেখা গেল জনসমুদ্র। ওই মহাপঞ্চায়েতের নেতৃত্বে ছিলেন রাকেশ টিকায়েতের ভাই নরেশ টিকায়েত।

শুক্রবার মুজাফফরনগরের মহাপঞ্চায়েতে(Kisan Mahapanchayet) ঠিক হয়েছে দিল্লিতে আন্দোলনত কৃষকদের সমর্থনে শনিবার থেকেই দিল্লি সীমান্তে জড়ো হতে শুরু করবেন ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের(BKU) সদস্যরা। ফলে শুক্রবার দিল্লির ৩ সীমান্ত আন্দোলনককারী কৃষকরা এক ধাক্কায় অনেকটাই শক্তি পাবেন বলেন মনে করা হচ্ছে। কারণ আজই ওইসব সীমান্তে গিয়ে কিছু লোক আন্দোলনস্থল থেকে উঠে যাওয়ার হুমকি দেয়। এনিয়ে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষও হয়।

এদিকে, শুক্রবার দিল্লির ৩ সীমান্তে আন্দোলকারীদের সঙ্গে এলাকার 'লোকজন'-এর সংঘর্ষের পর আসরে নেমেছে শিরোমনি অকালি দল(SAD)। 
চণ্ডীগড়ে আজ দলের শীর্ষ নেতা বিক্রম সিং মাজিথিয়া শিরোমনি অকালি দল(SAD) কর্মী ও ইয়ুথ অকালি(YAD) দলের কর্মীদের কাছে আর্জি জানিয়েছেন, দ্রুত সিঙ্ঘু, টিকরি ও গাজিপুরে ধরনাস্থলে ফিরে আসুন। কারণ আগের থেকে এখন অকালি দল কর্মীদের অনেক বেশি প্রয়োজন। বিক্রম সিং বলেন, আমি জানি দিল্লির সীমান্তে এখনও আপনাদের অনেকেই রয়েছেন। কৃষক আন্দোলন(Farmers Protest) ভেঙে দিতে চাইছে কেন্দ্র। এর সঙ্গে জড়িত হরিয়ানা বিজেপি। কৃষক আন্দোলন করতে গিয়ে যাদের প্রাণ গিয়েছে তাদের আত্মাহুতি যাতে বিফলে না যায় তা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। কৃষক আন্দোলনকে সফল করা বা দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করার মতো বড় আর কিছু হতে পারে না।

অন্যদিকে, ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের পাশে দাঁড়িয়েছেন রাষ্ট্রীয় লোকদল(RLD) প্রধান অজিত যোগী ও তাঁর ছেলে ও কৃষক নেতা জয়ন্ত চৌধুরি। তাঁরাও আজ ছিলেন মুজাফফরনগর মহাপঞ্চায়েতে। অজিত যোগী বলেন, এটা আমাদের মরণ বাঁচন লড়াই। এখন সবাইকে একসঙ্গে থাকতে হবে।