উত্তরপ্রদেশে নিগৃহীত বৃদ্ধ কাণ্ডে FIR Twitter - এর নামে
ভারতের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে নষ্ট করার চেষ্টা করেছে টুইটার, দাবি পুলিসের
নিজস্ব প্রতিবেদন: যোগীরাজ্যে অদ্ভুত কাণ্ড! গাজিয়াবাদের মুসলিম বৃদ্ধের উপর নির্যাতন চালানোর ঘটনায় এফআইআরে নাম উঠল না দুষ্কৃতীদের। এই ঘটনায় পুলিসের খাতায় নাম উঠল টুইটারের। কোনও সাম্প্রদায়িক ইঙ্গিতই নেই বলে দাবি পুলিসের।
ঠিক কী ঘটেছিল?
দিন দুয়েক ধরে একটি ভিডিও টুইটার মারফত ভাইরাল হয়। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মুসলিম বৃদ্ধের উপর নির্যাতন চালাচ্ছে একদল যুবক। ঘটনার পর উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের ওই বৃদ্ধ অভিযোগ জানান, মসজিদে যাওয়ার পথে একদল দুষ্কৃতী তাঁর পথ আটকায়। তারপর পাশের জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে তার ফোন কেড়ে নেয়। এরপরই, তার ওপর নির্যাতন চালানো হয়। তিনি বলেছেন, 'দুষ্কৃতীরা' জোর করে ছুরি দিয়ে তাঁর দাড়ি কেটে দেয়।
কিন্তু এফআইআরের পাতা বলছে অন্য কথা। সেখানে উল্লেখ রয়েছে এই ঘটনায় দোষী টুইটার। পাশাপাশি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করেছে যোগী রাজ্যের পুলিস। তার কারণ হিসেবে পুলিস জানাচ্ছে এই ঘটনায় কোনও সাম্প্রদায়িক অশান্তির জের নেই। জোর করে ছড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে।
যে ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে টুইটার প্ল্যাটফর্মে, সেটি বন্ধ করতে পারত এই জায়েন্ট সোশ্যাল মিডিয়া। কিন্তু তারা সেটি করেনি। ভারতের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে নষ্ট করার চেষ্টা করেছে টুইটার।
তাহলে অত্যাচার চালাল কারা?
পুলিস জানিয়েছে, গাজিয়াবাদের বৃদ্ধকে যে দুষ্কৃতীরা নির্যাতন চালিয়েছিল তারা কেউ সাম্প্রদায়িক বিবাদ করতে চায়নি। তাবিজ কবজ বিক্রির সময় বচসা শুরু হয়।
পাল্টা কী জবাব দিল Twitter?
উত্তর প্রদেশ পুলিসের অভিযোগ অস্বীকার করেছে টুইটার।
প্রসঙ্গত, নতুন আইটি বিধি মেনে চলার মুহূর্তে টুইটার ভারতে মধ্যস্থতাকারী অবস্থানটি হারাতে বসেছে। এই বিষয়ে কোনও অর্ডার জারি করা হবে না।
যদি কোনও পোস্ট ভারতের আইনকে লঙ্ঘন করে তবে তার দায় নিতে হবে টুইটারকে। যদি টুইটারের যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই অষ্পষ্ট। যদি সে কাউকে নিয়োগ করে তবে তার নাম জানান উচিত।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন আইটি বিধি মেনে অন্তর্বর্তীকালীন চিফ কমপ্লায়েন্স অফিসার নিয়োগ করেছে টুইটার। মঙ্গলবার টুইটার জানিয়েছে, শীঘ্রই তাঁরা কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের কাছে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হবে। সরকারের নয়া নির্দেশিকা মেনে চলতে সবরকম প্রচেষ্টাই করছেন তারা। আগামী দিনে তাঁদের প্রতিটি পদক্ষেপের বিষয়েই তাঁরা কেন্দ্রকে জানাতে থাকবেন।