খিদের জ্বালায় মারা গেল পাঁচ বছরের মেয়ে, তার পর বাড়িতে পৌঁছল সরকারি অনুদান
খবর ছড়িয়ে পড়ার পরই স্থানীয় প্রশাসন ছুটে আসে সেই মেয়েটির বাড়িতে। সঙ্গে সঙ্গে চাল, ডালের বহর পাঠানো হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদন- ৫০ কেজি আটা, ৪০ কেজি চাল, ডাল, রেশনের আরও অনেক সামগ্রী বাড়িতে এল ঘটা করে। কিন্তু সেই সব সামগ্রীর যখন প্রয়োজন ছিল তখন আসেনি। এক সপ্তাহ ধরে বাড়িতে চালের একটা দানাও ছিল না। পাঁচ বছরের ছোট্ট মেয়ে কয়েকদিন ধরে কিছু খায়নি। সারাদিন খিদের জ্বালায় কেঁদেছে। খিদের চোটে একটা সময় তাঁর জ্বর আসে। চিকিত্সাও হয়নি সময় মতো। শেষমেশ পাঁচ বছরের সেই মেয়ে মারা যায়। এর থেকে দুঃখজনক ঘটনা হয়তো সাম্প্রতিক অতীতে ঘটেনি। ডিজিটাল হয়েছে দেশ। চলেছে বুলেট ট্রেন। এমন দেশে কি না এখনো না খেতে পেয়ে মানুষ মারা যায়! ভোট, সরকার, জনসাধারণের সেবা করার অঙ্গীকার, সবই প্রশ্নের মুখে এসে দাঁড়ায় এমন খবর প্রকাশ্যে আসার পর।
উত্তরপ্রদেশের বরোলির নগলা বিধিচন্দ গ্রামে পাঁচ বছরের একটি মেয়ে না খেতে পেয়ে মারা গিয়েছে। খবর ছড়িয়ে পড়ার পরই স্থানীয় প্রশাসন ছুটে আসে সেই মেয়েটির বাড়িতে। সঙ্গে সঙ্গে চাল, ডালের বহর পাঠানো হয়। সরকারি অনুদান চলে আসে। কিন্তু সবই পড়ে রইল। মৃত মেয়ের মা জানিয়েছেন, তিনি দিনমজুরি করে সংসার চালান। তাঁর স্বামী অসুস্থ। সেই মহিলার একার হাতেই সংসার চলে। কিন্তু লকডাউনের পর থেকে কাজ নেই। গত এক মাস ধরে বাড়িতে খাবার নেই। পড়শিরা সাহায্য করায় ১৫ দিন মতো খাবার জুটেছিল। কিন্তু গত সাত দিন ধরে বেঁচে থাকাই দায় হয়েছিল। মেয়েটি গত কয়েকদিন ধরে কিছু খায়নি। তার উপর ধুম জ্বর হয়েছিল। যদিও স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে মেয়েটির মৃত্যু খিদের জ্বালায় হয়নি। হয়েছে ডায়েরিয়ায়।
আরও পড়ুন- হাসপাতালে পৌঁছতে আহত মহিলার স্ট্রেচার কাঁধে ১৫ ঘণ্টা হাঁটলেন ITBP জওয়ানরা, ভিডিয়ো
বাড়িতে লাইটের বিল এসেছিল সাত হাজার টাকা। হতদরিদ্র পরিবার সেই টাকা শোধ দিতে পারেনি। ফলে মাস তিনে আগে বিদ্যুত্ বন্টন সংস্থা থেকে এসে লাইন কেটে দিয়ে যায়। মৃত মেয়েটির মা জানিয়েছেন, তাঁদের পরিবারে কারও রেশন কার্ড হয়নি। তাই রেশন থেকে চাল, ডাল কিছুই তাঁরা পাননি। তবে স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, এবার তাঁদের রেশন কার্ড করে দেওয়া হবে। আর আগে নোটবন্দির সময় সেই মহিলার আট বছরের ছেলে মারা গিয়েছিল।