Mob Lynching: মাঝ রাস্তায় 'খুন' ২৩ বছরের ছেলে, পথচলতি লোকজন দাঁড়িয়ে তুলল ভিডিয়ো

 কেউ সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসছে না। কেউ একবারের জন্যও উন্মত্ত দুজনকে আটকাচ্ছে না। উল্টে কয়েকজন ঘটনাস্থলের খুব কাছে এসে ছবি ও ভিডিয়ো তুলে নিচ্ছে। যাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নারকীয় ঘটনার ফুটেজ তুলে ধরা যায়!

Updated By: Dec 29, 2020, 01:14 PM IST
Mob Lynching: মাঝ রাস্তায় 'খুন' ২৩ বছরের ছেলে, পথচলতি লোকজন দাঁড়িয়ে তুলল ভিডিয়ো

নিজস্ব প্রতিবেদন- একটি ২৩ বছরের ছেলেকে দুজন মাঝ রাস্তায় ফেলে প্রচণ্ড মারধর করছে। পাশ দিয়ে হেঁটে, সাইকেলে, মোটরসাইকেলে, গাড়িতে শয়ে শয়ে লোক যাচ্ছে। কিন্তু কেউ সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসছে না। কেউ একবারের জন্যও উন্মত্ত দুজনকে আটকাচ্ছে না। উল্টে কয়েকজন ঘটনাস্থলের খুব কাছে এসে ছবি ও ভিডিয়ো তুলে নিচ্ছে। যাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নারকীয় ঘটনার ফুটেজ তুলে ধরা যায়! এটাই কি তবে নিউ ইন্ডিয়া! দিনের আলোয়, প্রকাশ্য রাস্তায় একটি কমবয়সী ছেলেকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলল দুজন। রক্তে ভেসে গেল রাস্তা।

সোশ্যাল মিডিয়া-তেই উঠল সেই ভিডিয়োর ফুটেজ। পুলিস গিয়ে গ্রেফতার করেছে ওই দুজনকে। উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের ঘটনা। এমন ঘটনা অবশ্য যোগীর রাজ্যে নতুন কিছু নয়। গাজিয়াবাদের অঙ্কুর বিহার এলাকার এই ঘটনা আরও একবার উত্তরপ্রদেশের আইন-কানুন নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল। তার থেকেও বড় প্রশ্ন উঠল, এই সমাজের মানসিকতা নিয়ে। অজয় কুমার নামে ২৩ বছরের ছেলেটিকে লোহার রড দিয়ে মাঝ রাস্তায় পিটিয়ে মেরে ফেলল গোবিন্দ শর্মা অমিত কুমার নামের দুজন। তাঁদের দুজনেরও বয়স যথাক্রমে ২১ ও ২২ বছর।

আরও পড়ুন-  ঘুটঘুটে অন্ধকার ঘরে ১০ বছর ধরে বন্দি তিন ভাই-বোন (Siblings), দরজা ভেঙে উদ্ধার

জানা গিয়েছে, লোনি মন্দিরের বাইরে ফুলের দোকান ছিল গোবিন্দের। কিন্তু লকডাউনে তাঁর দোকানের পাশে ফুল নিয়ে বসে অজয়। তার পর ধীরে ধীরে সেখানে দোকান খুলে ফেলেন তিনি। ফলে গোবিন্দের ব্যবসা কিছুটা মার খায়। এর পরই বারবার অজয়কে দোকান তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দিতে শুরু করে গোবিন্দ। কিন্তু কাজ হয়নি। আর তাই বন্ধু অমিতের সঙ্গে অজয়কে মারার ষড়যন্ত্র করে সে। এদিন অজয় দোকান বন্ধ করে বাড়ি যাওয়ার জন্য অটোয় চেপে বসে। তখনই গোবিন্দ ও অমিত গিয়ে তাঁকে টেনে নামায়। তার পরই দুজনে লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারতে শুর করে অজয়কে। পুলিস জানিয়েছে, অন্তত ৪ থেকে ৫ বার অজয়ের মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করেছিল দুজন। রাস্তায় রক্তের স্রোত বয়ে যায়। আর এই পাশবিক দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি হয়ে থাকে পথচলতি লোকজনদের মোবাইলে।

.