এনআরসিতে ‘বিদেশি’ উল্লেখিত প্রাক্তন সেনা জওয়ানের অন্তর্বর্তী মুক্তির নির্দেশ আদালতের
তাঁকে কামরূপ অঞ্চলের বাইরে না যাওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সুবেদার মহম্মদ সানাউল্লার অন্তর্বর্তী মুক্তির নির্দেশ দিল গুয়াহাটি হাইকোর্ট। শুক্রবার এই নির্দেশ দিয়েছে ওই আদালত। সানাউল্লা কারগিল যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। সেনাবাহিনী থেকে সাম্মানিক লেফটেন্যান্ট হিসেবে অবসর নিয়েছেন।
এই অবসরপ্রাপ্ত সেনা জওয়ানের নাম বাদ গিয়েছিল এনআরসিতে। তাঁকে বাংলাদেশি বলে চিহ্নিত করা হয়েছিল। বোকোর ফরেনার্স ট্রাইবুন্যাল জানিয়েছিল, তিনি বাংলাদেশ থেকে শ্রমিকের কাজ করতে ভারতে এসেছিলেন।
আরও পড়ুন: কেরলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই শুরু হবে বর্ষা, জানাল মৌসম ভবন
এর পরই মে মাসের ২৮ তারিখ তাঁকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দেওয়া হয়। তার পর তাঁকে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানোর নির্দেশ দেয় অসমের কামরূপের ফরেনার্স ট্রাইবুন্যাল।
ডিটেনশন ক্যাম্পে যাওয়ার পর এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে গুয়াহাটি হাইকোর্টে মামলা করেন মহম্মদ সানাউল্লা। তিনি নিজের মুক্তির ওই আবেদন জানান। সেই মামলার শুনানিতে শুক্রবার আদালত সানাউল্লার অন্তর্বর্তী মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ১০ হাজার টাকার জন্য আড়াই বছরের শিশুকন্যাকে নৃশংসভাবে খুন
২০ হাজার টাকার বন্ড ও দু’জন স্থানীয় ব্যক্তিকে জামিনদার হিসেবে রেখে তাঁকে অন্তর্বর্তী মুক্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে কামরূপ অঞ্চলের বাইরে না যাওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে কামরূপের বাইরে যেতে গেলে তাঁকে সেখানকার পুলিস সুপারের অনুমতি নিতে হবে।
সীমান্ত পুলিসে যোগদান করার আগে সানাউল্লা ৩০ বছর সেনাবাহিনীতে কাজ করেছেন। তিনি ক্যাপ্টেন পদমর্যাদাও পেয়েছিলেন। তিনি রাষ্ট্রপতি পুরস্কারও পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: জাতপাতের সমীকরণের জের, জগনের ক্যাবিনেটে থাকছে পাঁচ উপ-মুখ্যমন্ত্রী
ফলে তাঁর নাম এনআরসি থেকে বাদ যাওয়ায় ব্যপক হইচই হয়েছিল। মোদী জমানার প্রথম দফায় বিরোধীরা তোপ দেগেছিল বিজেপির বিরুদ্ধে। এদিন গুয়াহাটি হাইকোর্টের নির্দেশের পর কংগ্রেস ফের তোপ দেগেছে। কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা এদিন এনআরসির পদ্ধতিগত ত্রুটি নিয়ে সরব হয়েছেন।