‘বহিরাগত’ নন আর্যরা! এই প্রথম ডিএনএ পরীক্ষা করে দাবি গবেষকদের
গবেষকরা জানিয়েছেন, প্রায় সাড়ে ৪ হাজার বছরের পুরনো মহিলা দেহাবশেষের জিনগত পরীক্ষা করে দেখা গেছে আর্যদের আগমনের থিওরি নিয়ে প্রশ্নের অবকাশ রয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদন: হরপ্পা সভ্যতা নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল সম্প্রতি এক গবেষণাপত্রে। মধ্য-প্রাচ্য থেকে যে জনজাতি এই হরপ্পা সভ্যতার শেষ পর্যায়ে বসবাস শুরু করেছিল, তাঁদেরই আর্য বলে মনে করা হয়। তাঁদের মাধ্যমেই দক্ষিণ এশিয়ায় চাষবাসের প্রচলন হয় বলে অন্তত ইতিহাসের পাতায় বর্ণনা রয়েছে। কিন্তু শুক্রবার একদল গবেষক জানিয়ে দেন, হরপ্পা সভ্যতার মানব কঙ্কালের ডিএনএ পরীক্ষা করে জানা গিয়েছে বাইরে থেকে আর্য জাতির এ দেশে আসেনি বা আক্রমণ করেনি। এমনকি চাষবাসও মধ্য প্রাচ্য থেকে আমদানি হয়নি। এই জীবিকা আগের থেকেই নির্বাহ করতে হরপ্পাবাসীরা।
হরপ্পা সভ্যতা নিয়ে এই চাঞ্চল্যকর গবেষণাপত্রের লেখকরা হলেন ডেকান কলেজের উপাচার্য ডঃ বসন্ত আচার্য, লখনউয়ের বীরবল সাহানি ইন্সটিটিউট অব পালেওসায়েন্সেসের গবেষক নীরাজ রাই, হার্ভাড মেডিক্যাল স্কুলের গবেষক ভিএম নরসিংহম, নাদিন রোল্যান্ড, ডেভিড রেক এবং হার্ভাড ও ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজির নিক পিটারসন। ২০১৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত গবেষণা চালান তাঁরা।
আরও পড়ুন- কলেজে ভর্তির আগে পর্যন্ত জুতো ছিল না, কঠোর পরিশ্রমে আজ তিনিই ইসরোর প্রধান
গবেষকরা জানিয়েছেন, প্রায় সাড়ে ৪ হাজার বছরের পুরনো মহিলা দেহাবশেষের জিনগত পরীক্ষা করে দেখা গেছে আর্যদের আগমনের থিওরি নিয়ে প্রশ্নের অবকাশ রয়েছে। তাঁদের দাবি, বৈদিক যুগের মানুষ হরপ্পা জাতিরই অন্তর্গত। এমনকি তাঁদের গবেষণা বলছে, পূর্ব থেকে পশ্চিমে পাড়ি দিয়েছিলেন আর্যরা। তাঁদের মতে, চাষবাস বাইরে আমদানি হয়নি। এ দেশেই চাষবাসের চল ছিল বলে জানান তাঁরা। গবেষকদের যুক্তি, চাষবাসের প্রচলন থাকায় আর্যদের যাযাবর বৃত্তির সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়। এই প্রথম আর্য সভ্যতার জীবাশ্মের ডিএনএ পরীক্ষা করে গবেষণা চালানো হয়েছে। গবেষকদের দাবি, ভাষাগত পরীক্ষার মাধ্যমে হরপ্পা সভ্যতার সম্পূর্ণ তথ্যের প্রমাণ মেলে না। প্রত্নতাত্ত্বিক পরীক্ষাও ভালভাবে হয়নি বলে অভিযোগ তাঁদের।