লকডাউন শিথিল বাড়াতে পারে সংক্রমণ, মোদী সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকই

"ইতিহাস সাক্ষী আছে, করোনাভাইরাসের মতো বিশ্বমারীর ক্ষেত্রে চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর জনগণ যদি সঙ্গে সঙ্গেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা বন্ধ করে দেয়, তাতে আবার সংক্রমণ বেড়ে যায়।" 

Updated By: May 4, 2020, 06:51 PM IST
লকডাউন শিথিল বাড়াতে পারে সংক্রমণ, মোদী সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকই

নিজস্ব প্রতিবেদন: কেন্দ্রের লকডাউন আংশিক শিথিল করার পদেক্ষেপ নিয়ে কার্যত প্রশ্ন তুলে দিলেন কেন্দ্রেরই স্বাস্থ্যমন্ত্রক! ওই মন্ত্রকের যুগ্মসচিব লব আগরওয়ালের প্রশ্ন, সরকার লকডাউন লঘু করলে তার পরবর্তী কয়েকদিন সামাজিক দূরত্ব কি মেনে চলবে জনতা? তাঁর উদ্বেগ যে অহেতুক নয়, এ দিন মদের দোকান খোলা নিয়ে হাতেনাতে প্রমাণ পাওয়া গেল। লকডাউন বিধি-নিষেধ মাথায় তুলে লাইনের হিড়িক জনতার। জমায়েত হটাতে কোথাও কোথাও পুলিসকে লাঠিচার্জ করতে বাধ্য হয়।

তিনি বললেন, "ইতিহাস সাক্ষী আছে, করোনাভাইরাসের মতো বিশ্বমারীর ক্ষেত্রে চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর জনগণ যদি সঙ্গে সঙ্গেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা বন্ধ করে দেয়, তাতে আবার সংক্রমণ বেড়ে যায়।" অর্থাৎ, আগামী দিনে লকডাউন লঘু করা হলে সে ক্ষেত্রে দেশের জনগণের সচেতনতা উপরেই নির্ভর করবে পরিস্থিতি।

 

লকডাউন পরবর্তী সময়ে বেশ কিছুদিন সংক্রমণ আবার‌ও বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, লকডাউন পরবর্তী কয়েক মাসেও বজায় রাখতে হবে পরিছন্নতা বিধি এবং সামাজিক দূরত্ব। কিন্তু সে ক্ষেত্রে মানুষের সচেতনতাই হবে শেষ কথা। এদিন এ কথাই মনে করালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্ম সচিব।

এখন‌ও পর্যন্ত প্রায় ১১ হাজার ৭০৬ জন চিকিৎসার ফলে করোনাভাইরাস-মুক্ত হয়েছেন বলে জানালেন তিনি। গত ২৪ ঘণ্টাতেই সুস্থ হয়েছেন ১০৭৪ জন। দেশে এখন‌ও পর্যন্ত এটিই সবচেয়ে বেশি একদিনে সুস্থতার হার। লব আগরওয়াল জানালেন, দেশে এখন সুস্থতার হার ২৭.৫২ শতাংশ। দেশে মোট কোন আক্রান্তের সংখ্যা ৪২ হাজার ৫৩৩ জন।

আরও পড়ুন: পিছু হটল রেল, রাজ্য ১৫% দাম দিলেই পৌঁছে দেবে পরিযায়ী শ্রমিকদের

.