মরিয়া হয়ে প্রত্যাঘাত করার পথ খুঁজছে পাকিস্তান, কী কী প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত
ওয়েব ডেস্ক: মরিয়া হয়ে প্রত্যাঘাত করার পথ খুঁজছে পাকিস্তান। এই পরিস্থিতিতে কী হতে পারে ভারতের কৌশল? একবার দেখে নেওয়া যাক, কী কী প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত। সংঘাতে দুই প্রতিবেশী। পাকিস্তানকে বন্ধু ভাবার দুঃসাহস এখন ভারত করতে পারে না। আর শত্রুকে দুর্বল ভাবা মুর্খামি। সার্জিকাল স্ট্রাইকের বদলা নিতে মরিয়া পাকিস্তান। কী করবে ভারত?
সীমান্ত নিশ্ছিদ্র করে তোলা
নিরাপত্তার ফাঁকফোকর গলেই উরির সেনাক্যাম্পে ঢোকে জঙ্গিরা। শনিবার পঞ্জাবের উধমপুরে গিয়ে সীমান্ত পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন সেনাপ্রধান। সরিয়ে দেওয়া হয়েছে উরির ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা ব্রিগেডিয়ার সোমশঙ্করনকে। কাশ্মীর, পঞ্জাব ও রাজস্থান সীমান্তে খালি করা হচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম।
অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তায় জোর
উত্সবের মরশুমে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে দিয়ে বড় ধরনের নাশকতা চালাতে পারে পাকিস্তান। তিরিশ দিনের জন্য দেশের সবকটি মেট্রোয় কড়া সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
স্বল্পমেয়াদি যুদ্ধের প্রস্তুতি
পাকিস্তানি সেনা কার্গিলের মতো ফের অ্যাডভেঞ্চারের স্পর্ধা দেখাতে পারে। সেজন্য স্বল্প মেয়াদি যুদ্ধের জন্যও তৈরি থাকতে হচ্ছে ভারতকে।
মিসাইল ডিফেন্সে জোর
ঘনঘন পরমাণু যুদ্ধের হুমকি দিচ্ছে পাকিস্তান। বর্তমান ভূ রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সেই সম্ভাবনা নেই। তবু পাক ক্ষেপনাস্ত্র ঠেকাতে তৈরি থাকতে হবে ভারতকে। ভারতের নিজস্ব মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম রয়েছে। নাম কালি।
চিনের সঙ্গে সংঘাত এড়ানো
পাকিস্তানের স্থায়ী বন্ধু চিন। কোনও পরিস্থিতিতেই চিনের সঙ্গে সংঘাতে জড়াতে চাইছে না ভারত।
আমেরিকাকে কাছে টানা
চিনের পাল্টা হিসেবে আমেরিকাকে আরও কাছে টানাই ভারতের কৌশল। সেই লক্ষ্যে অনেকটা সফলও হয়েছে ভারত।
পাকিস্তানকে একঘরে করা
রাষ্ট্রসংঘ থেকে পশ্চিমী বিশ্ব। সর্বত্রই পাকিস্তানকে একঘরে করে ফেলতে সফল ভারত। সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের দিনই বাইশটি বন্ধু দেশের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পরিস্থিতি বোঝায় নয়াদিল্লি। দূরের বন্ধুদেরও দূত পাঠিয়ে কাছে টানার চেষ্টা জারি রয়েছে।
অন্য প্রতিবেশীদের কাছে টানা
সন্ত্রাস রফতানিই পাকিস্তানের প্রধান অস্ত্র। সেই হাতিয়ার ভোঁতা করতে অন্য সীমান্তগুলিতেও নিরাপত্তা নিশ্ছিদ্র করতে হবে। কাছে টানতে হবে বাংলাদেশ সহ বাকি প্রতিবেশীদের। আপাতত এই কৌশলকেই পাখির চোখ করছে ভারত।