কেউ প্রেমে, কেউ পলাশে, কেউ হোরিখেলায়, রঙের উত্সবে মাতল দেশ
রাত পোহালেই দোল। পরের দিন হোলি। এককথায় লম্বা উইকএন্ড। শান্তিনিকেতনে আবির মেখে মাতামাতি । লাল পলাশের সঙ্গে নির্জন ডেট। উদাসী হাওয়ার বেদুইন টানে কয়েকদিনের জন্য ব্যাগ গুছিয়ে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে পড়েছেন অনেকেই।
নীল আকাশ। প্রকৃতির আপন খেয়ালেই রঙিন হয়ে উঠেছে পলাশ বন। হাওয়ায় এখনও হালকা ঠান্ডার আমেজ। বসন্ত এসেছে। বসন্ত মানেই দোল উত্সব। আর দোলের কথায় প্রথমেই মনে পড়ে শান্তিনিকেতনের কথা। সাম্প্রতিককালের যাবতীয় বিতর্ক দূরে সরিয়ে এই একটি দিন চিরাচরিত ঢঙেই বসন্ত উত্সব পালন হবে বিশ্বভারতীতে। সঙ্গীত ভবনে জোরকদমে চলছে তারই প্রস্তুতি। আয়োজকরা জানিয়েছেন, এবার চার লক্ষ পর্যটক আসবেন শান্তিনিকেতনে।
প্রকৃতির ক্যানভাসে রঙিন হয়ে উঠেছে বাঁকুড়াও। গাছে গাছে ফুটেছে লাল পলাস। একসময় এই পলাস ফুল থেকেই তৈরি হত ভেষজ রঙ। বসন্তে এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসেন পর্যটকরা। দোল উত্সবে পর্যটকদের ঢল নামে ঝাড়গ্রামেও। এবারও সবুজ পাহাড়ের কোলে হোলি উইকএন্ড কাটাতে ব্যাগ গুছিয়ে ফেলেছেন অনেকেই। রঙ, আবির, পিচকিরির পসরা সাজিয়ে বসে পড়েছেন দোকানিরাও। রঙে রঙীন হতে বাদ যায়নি ওরাও।
এই বসন্তে মনে রঙের ছোঁয়া লাগাতে বেড়িয়ে পড়তে পারেন আপনিও। উদাসী হাওয়ায় গা ভাসিয়ে বলতেই পারেন, "হোলি হ্যায়''!!!