সবচেয়ে কঠিন কক্ষপথ পেরিয়ে মঙ্গলের দোরগোড়ায় মঙ্গলায়ন
টানা ছ-ছটা মাসের অভ্যেস। নিঁখুত স্কিলে একটার পর একটা হার্ডলস টপকে শেষ পর্যন্ত গোলপোস্টের এক্কেবারে কাছে পৌছে যাওয়া। না ব্রাজিল বিশ্বকাপের কোনও খবর নয়। ফুটবলের মরশুমে ভারতীয় বিজ্ঞানীদের মহাজাগতিক গোল করার গল্প এটা। এ মাসে সবচেয়ে শক্ত পথ পার করে মঙ্গলের কক্ষপথে ঢুকে পড়েছে ইসরোর মঙ্গলযান।
টানা ছ-ছটা মাসের অভ্যেস। নিঁখুত স্কিলে একটার পর একটা হার্ডলস টপকে শেষ পর্যন্ত গোলপোস্টের এক্কেবারে কাছে পৌছে যাওয়া। না ব্রাজিল বিশ্বকাপের কোনও খবর নয়। ফুটবলের মরশুমে ভারতীয় বিজ্ঞানীদের মহাজাগতিক গোল করার গল্প এটা। এ মাসে সবচেয়ে শক্ত পথ পার করে মঙ্গলের কক্ষপথে ঢুকে পড়েছে ইসরোর মঙ্গলযান।
গত ৫ নভেম্বর দুপুর ২টো বেজে ৩৮ মিনিটে ইতিহাস গড়েছিল ভারত। মহাকাশ গবেষণায় নতুন মাইল ফলক ছুঁয়েছিল ইসরো। সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে মঙ্গলের উদ্দেশ্যে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিল ভারতের মঙ্গলযান মঙ্গলায়ন। আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর গন্তব্যে পৌছবে ইসরোর এই মহাকাশযান। মঙ্গলে পৌছনোর আগে ৩ বার কক্ষপথ পরিবর্তনের কথা মঙ্গলযানের। প্রথমবার সফলভাবে কক্ষপথ পরিবর্তনের বাধা পেরোলেও দ্বিতীয়বারের কক্ষপথ পরিবর্তন নিয়ে চিন্তায় ছিলেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। ১১ জুন দ্বিতীয়বারের সেই দুরুহ কক্ষপথ পরিবর্তনের কাজটাই সফলভাবে করে ফেলেছেন তারা। যার ফলে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে লালগ্রহের দিকে ছুটে চলেছে মঙ্গলায়ন।
এর সঙ্গে সঙ্গেই গন্তব্যের ৭০ শতাংশ পথও পার করে ফেলেছে মঙ্গলায়ন। কিন্তু কেন ট্রাজেকটরি বা যানের দ্বিতীয় কক্ষপথ পরিবর্তন নিয়ে চিন্তায় ছিলেন বিজ্ঞানীরা। চব্বিশে সেপ্টেম্বর লালগ্রহের কক্ষপথে পৌছবে ভারতের মঙ্গলযান। আর তখনই চিন, জাপানকে ছাপিয়ে এক নতুন মাইলস্টোন ছুঁয়ে ফেলবে ইসরো।