'এনরিকে লেক্সে'র ঘাতক রক্ষীদের গ্রেফতারে ক্ষুদ্ধ ইতালি
ভারতীয় মত্সজীবীদের গুলি করে হত্যার অভিযোগে ইতালীয় জাহাজের ২ নিরাপত্তারক্ষীকে গ্রেফতারের ঘটনায় কেরল পুলিসের তীব্র সমালোচনা করল রোম। ইতালীয় বিদেশমন্ত্রী গিউলিও টার্জির দাবি, রাষ্ট্রসঙ্ঘের সনদ এবং ইতালীর আইন অনুযায়ী সম্ভাব্য জলদস্যু হানা ঠেকাতে 'এনরিকে লেক্সে' জাহাজে সশস্ত্র রক্ষী মোতায়েন করা হয়েছিল।
ভারতীয় মত্সজীবীদের গুলি করে হত্যার অভিযোগে ইতালীয় জাহাজের ২ নিরাপত্তারক্ষীকে গ্রেফতারের ঘটনায় কেরল পুলিসের তীব্র সমালোচনা করল রোম। ইতালীয় বিদেশমন্ত্রী গিউলিও টার্জির দাবি, রাষ্ট্রসঙ্ঘের সনদ এবং ইতালীর আইন অনুযায়ী সম্ভাব্য জলদস্যু হানা ঠেকাতে 'এনরিকে লেক্সে' জাহাজে সশস্ত্র রক্ষী মোতায়েন করা হয়েছিল। তাই তাদের গ্রেফতার করে আন্তর্জাতিক আইন ভেঙেছে ভারত।
শনিবার সকালে ইতালীয় জাহাজ 'এনরিকে লেক্সে'র কর্মীরা জানায়, ইতালির কূটনীতিকরা ভারতে না পৌঁছালে, তারা পুলিসের জেরার সম্মুখীন হবে না। শনিবার সন্ধ্যায় 'এনরিকে লেক্সে'র ক্যাপ্টেনের সঙ্গে দেখা করে কোচি পুলিস কমিশনার অজিত কুমার জানান, মত্সজীবীদের হত্যা কাণ্ডে মূল অভিযুক্তদের কোচি পুলিসের হাতে তুলে দিতে রাজি হয়েছেন ইতালীয় জাহাজের ক্যাপ্টেন। রবিবার ইতালির কূটনীতিকরা দিল্লি পৌঁছানোর পরই খুনের অভিযোগে ২ জনকে গ্রেফতার করে কোচি পুলিস।
এর পুলিসকে তদন্তে সাহায্য করতে ইতালির বিদেশমন্ত্রককে জানিয়েছিলেন বিদেশমন্ত্রী এসএম কৃষ্ণ। কিন্তু এদিন সেই সুপারিশ কার্যত উপেক্ষা করল ইতালি সরকার। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার ভোররাতে কেরলের উপকূলে জলদস্যুদের জলযান বলে ভুল করে ভারতীয় মত্সজীবীদের একটি নৌকার উপর গুলি চালান `এনরিকা লেক্সে`র রক্ষীরা। গুলিতে আজেশ বিঙ্কি এবং জালাস্টেন নামে ২ মত্স্যজীবীর মৃত্যু হয়। অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচেন ওই জলযানে থাকা বাকি ৯ জন মত্সজীবী। তাঁদের অভিযোগ, কোনওরকম পূর্ব-সতর্কতা ছাড়াই গুলি চালানো হয় এনরিকে থেকে।