জল সত্যাগ্রহ সফল, ওমকারেশ্বরে নামছে জলস্তর
সফল হল জল সত্যাগ্রহ! টানা ১৭ দিন মধ্যপ্রদেশের ওমকারেশ্বর বাঁধের গলা ডোবা জলে নেমে সত্যাগ্রহ চালাচ্ছিলেন বাঁধের পার্শ্ববর্তী এলাকার গ্রামবাসীরা। দাবি ছিল ওই বাঁধেরই জলের স্তর কমিয়ে আনার। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহ্বান সেই দাবির কাছেই অবশেষে মাথানত করলেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
সফল হল জল সত্যাগ্রহ! টানা ১৭ দিন মধ্যপ্রদেশের ওমকারেশ্বর বাঁধের গলা ডোবা জলে নেমে সত্যাগ্রহ চালাচ্ছিলেন বাঁধের পার্শ্ববর্তী এলাকার গ্রামবাসীরা। দাবি ছিল ওই বাঁধেরই জলের স্তর কমিয়ে আনার। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহ্বান সেই দাবির কাছেই অবশেষে মাথানত করলেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
এই দিন এক সাংবাদিক সম্মেলনে চৌহ্বান ওমকারেশ্বরের জল স্তর ১৯০.৫ মিটার থেকে ১৮৯ মিটার করার কথা ঘোষণা করলেন। যদিও এই সিদ্ধান্তের বিরূপ প্রতিক্রিয়া নিয়ে তাঁর চিন্তার কথাও ব্যক্ত করেছেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন,"বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও নর্মদা নদীর তীরে গড়ে ওঠা ওমকারেশ্বর বাঁধের জল স্তর কমিয়ে ফেললে ২০ হাজার হেক্টর জমির জল সেচ প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্থ হবে। বিঘ্ন হবে ১২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনও।`` বাঁধের ফলে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের ৯০ দিনের মধ্যে `জমির বদলে জমি` ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি। যে কৃষকরা ইতিমধ্যে আর্থিক ক্ষতিপূরণ নিয়ে নিয়েছেন তাঁরাও যদি ক্ষতিপূরণের অর্থের ৫০ শতাংশ ফিরিয়ে দেন, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে তাঁদেরকেও পূণর্বাসন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন চৌহ্বান।
প্রসঙ্গত, এই `জল সত্যাগ্রহ` আসলে নর্মদা বাঁচাও আন্দোলনেরই একটি অংশ। ওমকারেশ্বরের ফলে গৃহহীন কৃষকরা বেশ কিছুদিন ধরেই পূণর্বাসন আর ক্ষতিপূরণের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।
ইন্দিরা সাগর বাঁধেও একই রকম দাবিতে এখনও `জল সত্যাগ্রহ` চালিয়ে যাচ্ছেন একদল গ্রামবাসী। সোমবার তাঁদের বিষয়ে অবশ্য কোন মন্তব্যই করেননি চৌহ্বান।