নেই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা, ভূ-স্বর্গে বিকল্প রাস্তায় হেঁটে সরকার গঠনে সচেষ্ট সব দলই
ভোট শেষ। এখন সরকার গড়ার পালা। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় কোনও দলই একক ভাবে সরকার গঠন করতে পারছে না ভূ-স্বর্গে। ম্যাজিক ফিগার ৪৪। অথচ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই কোনও দলেরই। তাই সব দলের কাছে সব বিকল্পই খোলা। এক কথায় এটাই জম্মু কাশ্মীরের ভোটপরবর্তী পরিস্থিতি।
শ্রীনগর: ভোট শেষ। এখন সরকার গড়ার পালা। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় কোনও দলই একক ভাবে সরকার গঠন করতে পারছে না ভূ-স্বর্গে। ম্যাজিক ফিগার ৪৪। অথচ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই কোনও দলেরই। তাই সব দলের কাছে সব বিকল্পই খোলা। এক কথায় এটাই জম্মু কাশ্মীরের ভোটপরবর্তী পরিস্থিতি।
জনসংঘের আমল থেকে এই প্রথম ভূ-স্বর্গে এত ভালো ফল করেছে বিজেপি। তাই সবচেয়ে বেশি আত্মবিশ্বাসী গেরুয়া শিবির। এখন প্রশ্ন হল কোন অঙ্ক মাথায় রেখে এতটা আত্মবিশ্বাস দেখাচ্ছেন অমিত শাহরা?
সরকার গড়ার প্রশ্নে বিজেপি নেতাদের প্রথম পছন্দ ওমর আবদুল্লার ন্যাশনাল কনফারেন্স।
কারণ ন্যাশনাল কনফারেন্সের ঝুলিতে রয়েছে ১৫টি আসন। আর বিজেপির আসন সংখ্যা ২৫।
এরপরও সরকার গঠন করতে দরকার আরও কিছু নির্দলের সমর্থন। ইতিমধ্যেই সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে সাজ্জাদ লোন। ভোটের আগেই ঘনিষ্ঠতার বার্তা দিয়ে রেখেছেন তিনি। কিন্তু, বেসুরো গাইছেন ওমর নিজেই। বিজেপির সঙ্গে সরকার গড়ার সম্ভাবনা প্রায় খারিজ করে দিয়েছেন জম্মু-কাশ্মীরের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী। ওমর জোটের সম্ভাবনা কিছুটা উড়িয়ে দিলেও, পথ খোলা রাখছেন তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী মেহবুবা মুফতি।
পিডিপি মোট আসন সংখ্যা ২৮। আর বিজেপির ২৫।
ফলে নির্দলদের সঙ্গে নিয়ে সহজেই পিডিপি-বিজেপি সরকার গড়তে পারে উপত্যকায়। সেই সম্ভাবনার ওপর জোর দিচ্ছেন বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা নিজেও।
এদিকে কংগ্রেস কিম্বা বিজেপি। কোনও দলেরই হাত ধরতে তাঁর সমস্যা নেই বলে জানিয়ে দিয়েছেন মেহবুবা মুফতি। কিন্তু এখানেই প্যাঁচ কষছেন অমিত শাহরা। তাঁদের যুক্তি, নির্দলের সাহায্য ছাড়া পিডিপি কংগ্রেসের সঙ্গে সরকার গড়তে পারবে না। তাই পাল্লা ভারি তাদের দিকেই। তবে শেষ পর্যন্ত ভূ-স্বর্গে সরকার গড়তে কে কার হাত ধরবে, তা নিয়ে যেমন রাজনৈতিক মহলে চলছে জোর, তেমনই বিভিন্ন দলের অন্দরেও শুরু হয়ে গেছে অঙ্ক কষা।