মোদীর চাপে দলই ছাড়লেন সঞ্জয় যোশি
শেষ পর্যন্ত নরেন্দ্র মোদীর চাপে বিজেপি ছাড়তে বাধ্য হলেন সঞ্জয় যোশি। দলের প্রাথমিক সদস্যপদ না ছাড়লেও বিজেপি সভাপতি নীতিন গডকড়িকে চিঠি লিখে উত্তরপ্রদেশের আসন্ন পুরভোটের দায়িত্ব পালনে অপারগতা এবং সক্রিয় দলীয় রাজনীতি ছাড়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। বিজেপি সূত্রে জানানো হয়েছে সঞ্জয় যোশির আবেদন মঞ্জুর করেছেন গডকড়ি।
শেষ পর্যন্ত নরেন্দ্র মোদীর চাপে বিজেপি ছাড়তে বাধ্য হলেন সঞ্জয় যোশি। দলের প্রাথমিক সদস্যপদ না ছাড়লেও বিজেপি সভাপতি নীতিন গডকড়িকে চিঠি লিখে উত্তরপ্রদেশের আসন্ন পুরভোটের দায়িত্ব পালনে অপারগতা এবং সক্রিয় দলীয় রাজনীতি ছাড়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। বিজেপি সূত্রে জানানো হয়েছে সঞ্জয় যোশির আবেদন মঞ্জুর করেছেন গডকড়ি। বিজেপি মুখপাত্র প্রকাশ জাভড়েকর সঞ্জয় যোশির ইস্তফা সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানাতে রাজি না হলেও স্বয়ং যোশি এ ব্যাপারে মুখ খুলেছেন। স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, নরেন্দ্র মোদীর চাপেই দলীয় রাজনীতি ছাড়তে হচ্ছে তাঁকে।
মুম্বই অধিবেশনের শুরুতেই নরেন্দ্র মোদীর চাপে দলের জাতীয় কর্মসমিতি থেকে সঞ্জয় যোশিকে ইস্তফা দিতে বাধ্য করিয়েছিলেন বিজেপি সভাপতি নীতিন গডকড়ি। কিন্তু তার পরই সঙ্ঘ পরিবারের ঘনিষ্ঠ সঞ্জয়ের কাঁধে উত্তরপ্রদেশের আসন্ন পুরভোট পরিচালনার ভার তুলে দেন গডকড়ি। কিন্তু চলতি সপ্তাহের গোড়ায় `ছোটে সর্দার`-এর খাসতালুক আমদাবাদ ও গান্ধীনগরে বিজেপি কার্যালয়ের সামনে সঞ্জয় যোশিকে ফেরত আনার দাবিতে পোস্টার-হোডিং-ফ্লেক্স লাগান তাঁর সমর্থকরা। শুধু সঞ্জয় যোশিকে দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক কমিটিতে ফিরিয়ে আনার দাবি নয়, বিজেপির মতো দলে কোনও ব্যক্তিবিশেষের(পড়ুন নরেন্দ্র মোদী) `দাদাগিরি` চলতে পারে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয় ওই পোস্টারে। এর পরই দলীয় দায়িত্ব থেকে সঞ্জয়ের অপসারণ চেয়ে ১১ নম্বর অশোক রোডের নীতিনির্ধারকদের উপর চাপ বাড়ান মোদী।
আর মাত্র পাঁচ মাস পরেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই কেশুভাই প্যাটেল, সুরেশ মেহতা, কাশীরাম রানা-সহ গুজরাত বিজেপি বেশ কয়েকজন প্রথম সারির নেতা প্রকাশ্যে মোদীর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন। প্রকাশ্য জনসভায় প্যাটেল জনগোষ্ঠীর ভোটারদের কাছে নরেন্দ্র মোদীকে পরাজিত করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কেশুভাই প্যাটেল। শুক্রবারই জাতিগত বৈরিতা বাড়ানোর অভিযোগে কেশুভাই-সহ বিরোধী শিবিরের কয়েকজন শীর্ষনেতার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। প্যাটেল সম্প্রদায়ের এক বিজেপি নেতার খুনের ঘটনায় জাতিগত উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে মামলা হয়েছে, দলত্যাগী বিজেপি নেতা তথা `মহাগুজরাট জনতা পার্টি`র সভাপতি গোর্ধন ঝদাফিয়া এবং কংগ্রেস সাংসদ বিট্ঠল রাধাদিয়ার বিরুদ্ধেও। এই পরিস্থিতিতে প্রবল মোদী-বিরোধী হিসেবে পরিচিত সঞ্জয় যোশির বিধানসভা ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদীকে চাপে ফেলবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।