Joshimath Sinking: বসে যাচ্ছে গোটা যোশীমঠ! কয়েক শো বাড়িতে ফাটল, ঘর ছাড়ছেন বহু বাসিন্দা
যোশীমঠ পুরসভার চেয়ারম্যান শৈলেন্দ্র পাওয়ার সংবাদমাধ্যমে বলেন, সিংধর ও মারওয়াদি এলাকায় বাড়িতে ফাটল শুরু হয়েছে। সেই ফাটল প্রতি ঘণ্টায় বাড়ছে। সিংধরে বদ্রীনাথ জাতীয় সড়ক, মারওয়াড়ির জেপি কোম্পানি গেটের কাছে ক্রমাগত ফাটল বেড়ে চলেছে
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: একের পর এক বাড়িতে বিশাল আকারের ফাটল দেখা দিয়েছে যোশীমঠে। উত্তরাখণ্ডের এই শহরে ৫৬১টি বাড়ি ক্রমশ বসে যাচ্ছে। এর ফলে বহু মানুষ ঘর হারাতে পারেন, এমন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। আতঙ্কে কয়েক হাজার মানুষ।
পরিস্থিতি এমন একটা জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে যে অনেকেই ঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিচ্ছেন। অনেকেই ধারনা যে কোনও মুহূর্তে বড়সড় কোনও ঘটনা ঘটে যেতে পারে। শহরের বহু বাসিন্দার ধারনা প্রতি ঘণ্টা বাড়ছে ফাটল। একপ্রকার টাইম বোম্বের উপরে বসে রয়েছেন তাঁরা।
#WATCH | Land subsidence and cracks in many houses continue in Uttarakhand's Joshimath. Cracks have appeared on 561 houses in Joshimath, and water seepage continues from underground in JP Colony, Marwadi. pic.twitter.com/vo7IxIh1Xl
— ANI UP/Uttarakhand (@ANINewsUP) January 5, 2023
যোশীমঠ পুরসভার চেয়ারম্যান শৈলেন্দ্র পাওয়ার সংবাদমাধ্যমে বলেন, সিংধর ও মারওয়াদি এলাকায় বাড়িতে ফাটল শুরু হয়েছে। সেই ফাটল প্রতি ঘণ্টায় বাড়ছে। সিংধরে বদ্রীনাথ জাতীয় সড়ক, মারওয়াড়ির জেপি কোম্পানি গেটের কাছে ক্রমাগত ফাটল বেড়ে চলেছে।
কেন এমন ফাটল? বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের আশঙ্কা যোশীমঠে সিংধর ও মারওড়ারি মতো জায়গায় মটির নীচের জলস্তর নেমে যাচ্ছে। তার ফলেই ফাটল দেখা দিচ্ছে মাটিতে। শৈলেন্দ্র আরও বলেন, সুনীল ওয়াডের বিভিন্ন রাস্তায় বড়বড় ফাটল দেখা যাচ্ছে। রাস্তার অবস্থা এমন হয়েছে যে মানুষের চলাচল করতে সমস্যা হচ্ছে।
পুরসভার হিসেব অনুয়ায়ী এখনওপর্যন্ত ৫৬১টি বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে এবার তা ক্রমশ বড় হচ্ছে। এর মধ্যে ১৫৩টি বাড়ি রবিগ্রামে, ১২৭টি বাড়ি গান্ধীনগরে, ৭১টি বাড়ি মনোহরবাগে, ৫২টি গাড়ি শিংধরে, ৫০টি বাড়ি পারসারে, ২৯টি বাড়ি আপা বাজারে, ২৭টি বাড়ি সুনীলে, ২৮টি বাড়ি মারওয়াড়িতে, ২৪টি বাড়ি লোয়ার বাজারে। ঘরবাড়ি বসে যাওয়ায় পুরসভার বিরুদ্ধে বিক্ষোভও দেখিয়েছেন সাধারণ মানুষ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাহাড়ের এই এলাকাটি সিসমিক জোন ভি-তে পড়ে। তাই এসব এলাকা ধস প্রবণ। পরিস্থিতি গুরুতর দেখে ইতিমধ্যেই ২৯টি পরিবার নিরাপদ জায়গায় সরে গিয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের আধিকারিক এন কে যোশী আশঙ্কা করেছেন, শহরের আরও অনেক পরিবার ঘর ছাড়তে পারে।