কর্ণাটক সঙ্কটে সাময়িক স্বস্তি বিজেপি`র
শেষ পর্যন্ত নীতিন গডকড়ি-অরুণ জেটলির আবেদনে সাড়া দিয়ে আপাতত চূড়ান্ত সংঘাতের পথ থেকে সরে এল কন্নড় মুলুকের বিদ্রোহী বিজেপি শিবির। সোমবার কর্ণাটকের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপি সাধারণ সম্পাদক ধর্মেন্দ্র প্রধানের সঙ্গে আলোচনার পর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদ্দুরাপ্পা ঘনিষ্ঠ ৯ জন মন্ত্রী নিজেদের ইস্তফাপত্র প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
শেষ পর্যন্ত নীতিন গডকড়ি-অরুণ জেটলির আবেদনে সাড়া দিয়ে আপাতত চূড়ান্ত সংঘাতের পথ থেকে সরে এল কন্নড় মুলুকের বিদ্রোহী বিজেপি শিবির। সোমবার কর্ণাটকের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপি সাধারণ সম্পাদক ধর্মেন্দ্র প্রধানের সঙ্গে আলোচনার পর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদ্দুরাপ্পা ঘনিষ্ঠ ৯ জন মন্ত্রী নিজেদের ইস্তফাপত্র প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ডি ভি সদানন্দ গৌড়াকে সরানোর দাবিতে গত শুক্রবার ইয়েদ্দুরাপ্পা ঘনিষ্ঠ ৯ মন্ত্রী ইস্তফা দেন। এই পরিস্থিতিতে ক্রমশ ঘনীভূত রাজনৈতিক সঙ্কট নিয়ে রাজ্যপাল হংসরাজ ভরদ্বাজের সঙ্গে দেখা করেন কংগ্রেস বিধায়করা। শনিবার এ বিষয়ে রাজ্যপালের দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রধান বিরোধী দলের তরফে জানান হয়, বিজেপির দলীয় কোন্দল ঘিরে রাজ্যে পরিস্থিতি ক্রমই ঘোরালো হয়ে উঠছে। এর পরই পরিস্থিতির চাপে পড়ে দিল্লিতে বৈঠকে বসেন বিজেপির শীর্ষ নেতারা।
এদিন মিডিয়ার মুখোমুখি হয়ে বিদ্রোহী শিবিরের নেতা তথা রাজ্যের গ্রামোন্নয়ন ও পঞ্চায়েতমন্ত্রী জগদীশ শেট্টার জানিয়েছেন আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী বদলের বিষয়ে তাঁদের দাবি সম্পর্কে যথাযথ বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বি এস ইয়েদুরাপ্পাকে ফোন করে বিজেপি'র রাজ্যসভার নেতা অরুণ জেটলি এই অঙ্গীকার করেছেন। কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সদানন্দ গৌড়াকেও আলোচনার জন্য দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছে। আজ ইয়েদ্দুরাপ্পার বাড়িতে এবিষয়ে জরুরি বৈঠকের পর ইস্তফার প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয় বলে জানিয়েছেন পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী জগদীশ শেট্টার।
কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সদানন্দ গৌড়ার অপসারণের দাবিতে বিগত কয়েক মাস ধরেই সরব প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পার শিবির। খনি কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ানোয় গত বছরের ৩১ জুলাই কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যেতে হয় বি এস ইয়েদুরাপ্পাকে। এর পর বিজেপি পরিষদীয় দলে ভোটাভুটি করে নিজের অনুগামী সদাননন্দ গৌড়াকে জিতিয়ে আনেন তিনি। তাত্পর্যপূর্ণভাবে সে সময় ইয়েদুরাপ্পা-বিরোধী বল্লারি ব্রাদার্স এবং অনন্তকুমার গোষ্ঠীর তরফে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হয়েছিলেন জগদীশ শেট্টার। কিন্তু নবগঠিত মন্ত্রিসভায় দফতর বণ্টন নিয়ে ইয়েদুরাপ্পার সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন ডি ভি সদানন্দ গৌড়া। এর পরই নিজের জাতের নেতা জগদীশ শেট্টারকে মুখ্যমন্ত্রী করার দাবিতে সরব হন শিকারিপুরার লিঙ্গায়েত বিধায়ক।