প্ররোচণামূলক বক্তব্যের দায়ে মামলার জালে চন্দ্রশেখর রাও

জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটি (জেএসি)-র ডাকা লাগাতার বনধকে ঘিরে ক্রমশই উত্বপ্ত হচ্ছে তেলেঙ্গানা পরিস্থিতি। এরই মধ্যে প্ররোচণামূলক মন্তব্যের দায়ে টিআরএস প্রধান কে চন্দ্রশেখর রাও এবং তাঁর দুই অনুগামীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করল অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিস।

Updated By: Oct 11, 2011, 02:17 PM IST

জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটি (জেএসি)-র ডাকা লাগাতার বনধকে ঘিরে ক্রমশই উত্বপ্ত হচ্ছে তেলেঙ্গানা পরিস্থিতি। এরই মধ্যে প্ররোচণামূলক মন্তব্যের দায়ে টিআরএস প্রধান কে চন্দ্রশেখর রাও এবং
তাঁর দুই অনুগামীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করল অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিস। ফলে নতুন করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এফআইআর দায়েরের পরেই হায়দরাবাদে প্রায়
এক লক্ষ মানুষ জমায়েত হয়েছেন। জমায়েতে আছেন স্বয়ং কে চন্দ্রশেখর রাও-ও।
সোমবার প্রকাশ্য জনসভায় তেলেঙ্গানাবিরোধী সাংসদ-বিধায়ক-মন্ত্রীদের উপর হামলা করার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন কে চন্দ্রশেখর রাও। তেলেঙ্গানাপন্থী কর্মী সংগঠনগুলির এক সভায় পদত্যাগে অনিচছুক জনপ্রতিনিধিদের বাড়িতে হাঙ্গামা করার জন্য জেএসি সমর্থকদের নির্দেশ দেন তিনি। সভায় হাজির জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটির দুই নেতা স্বামী গৌড় এবং ভিট্টলও একইভাবে হামলারপক্ষে সওয়াল করেন। পাশাপাশি তেলেঙ্গানাপন্থী পুলিসকর্মীদের উদ্দেশ্যে বিদ্রোহে সামিল হওয়ার আহ্বান জানান তাঁরা।
মঙ্গলবার ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩এ ধারা (ধর্ম, ভাষা, জাত, অবস্থানগত ভিন্নতার প্রেক্ষিতে বৈরিতা সৃষ্টির চেষ্টা)এবং ১‍৯৬৬ সালের পুলিস আইনে মেহবুবনগরের টিআরএস সাংসদ এবং তাঁর দুই সঙ্গীর বিরুদ্ধে সইফাবাদ থানায় মামলা রুজু করা হয়।
ইতিমধ্যেই বহু পুলিসকর্মী ধর্মঘটে সামিল হয়েছেন। গতকাল থেকে ধর্মঘটকারীদের ধড়পাকড় শুরু হলেও, এখনও অনেক সরকারি কর্মচারি কাজে যোগ দেননি।

.